মঙ্গলবার (০৬ জুন) রাতে সংস্থাটির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, করদাতাদের ওপর বৈষম্যমূলক করারোপ, কালো টাকার বৈধতা দিতে অসাংবিধানিক সুযোগ, মেগা প্রকল্পে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ হ্রাসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকায়- এবারের প্রস্তাবিত বাজেট দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবে।
ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি এবং অর্থপাচার বন্ধে কোনো পদক্ষেপের প্রস্তাব করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, উল্টো দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রীয় ব্যাংকিং খাতের মূলধন বাবদ কর আদায়ের মাধ্যমে দুই হাজার কোটি টাকা অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। যার মাধ্যমে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতিকেই উৎসাহিত করা হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের সঞ্চয়ের ওপর অতিরিক্ত করারোপ করে তাদের বৈধ পথে সামান্যতম বাড়তি আয়ের পথ রুদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। মূসকের চূড়ান্ত বোঝা সাধারণ জনগণের ওপর আরোপিত হবে। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি যুক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে অস্থিতিশীলতা ও ক্ষোভ বাড়বে।
এবারও কালো টাকাকে বৈধতা দেওয়া অসাংবিধানিক সুবিধা উল্লেখ করে তার জোর প্রতিবাদ করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৬ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এসজে/পিএম/আইএ