বুধবার (২৮ জুন) রাতে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী অর্থবিল ২০১৭ পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। যদিও বিরোধীদল জাতীয় পার্টির একাধিক সদস্য বেশকিছু সংশোধনী প্রস্তাব দেন।
অর্থবিল পাসের আগে অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেট ঘোষণার পর দেশের সর্বস্তরে এর পক্ষে-বিপক্ষে যেভাবে আলোচনা-পর্যালোচনা হয়েছে তা আমার কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে। আমাদের সরকার জনগণের সরকার। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের ওপর জনগণের মতামত সঠিক পথে চলার নির্দেশনা দেয়।
বাজেটে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমরা প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি ৭.৪ শতাংশ। এটি অর্জনের বিষয়ে কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন। ২০১৫-১৬ সালে আমাদের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.০৫ শতাংশ। এর বিপরীতে আমরা ৭.১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিলাম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমাদের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭.২ শতাংশ। এর বিপরীতে বিবিএস এর সাময়িক হিসাবে আমাদের প্রবৃদ্ধি এসেছে ৭.২৪ শতাংশ।
তার মানে হচ্ছে, আমরা বিগত ২ বছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছি। এ ধারা সামনের দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তির অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর সাম্প্রতিক ইতিবাচক পরিবর্তন আমার এ দাবির স্বপক্ষেই সাক্ষ্য দিচ্ছে।
খাতভিত্তিক প্রবৃদ্ধি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এপ্রিল নাগাদ আমদানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.৭ শতাংশ এবং একই অর্থবছরের মে নাগাদ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩.৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল মাসে ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.২১ শতাংশ, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৫.৫৯ শতাংশ।
তিনি বলেন, প্রবাস আয়প্রবাহ নিয়ে আমরা কিছুটা উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। তবে প্রবাস আয়প্রবাহ সম্প্রতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চলতি অর্থবছরের মে মাসে আমাদের প্রবাস আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৩৮ শতাংশ, যা বিগত অর্থবছরে একই সময়ে ৮.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি নির্দেশক অন্য চলকগুলোর মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদন সূচক বাড়ছে। বিশেষভাবে ম্যানুফেকচারিং ও মাইনিং খাতের উৎপাদন সূচক চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বর নাগাদ ৭.৪১ শতাংশ ও ২.৪০ শতাংশ বেড়েছে।
***কার্যকর হচ্ছে না নতুন ভ্যাট আইন
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এসএম/এএ