ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

কর্পোরেট কর আরও কমানোর দাবি ডিসিসিআই’র

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
কর্পোরেট কর আরও কমানোর দাবি ডিসিসিআই’র

ঢাকা: আরও বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত কর্পোরেট করের হার আরও কমানোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। 

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ডিসিসিআই বোর্ড রুমে সভাপতি আবুল কাসেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়। এসময় সভায় ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


 
এসময় তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করের হার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করের হার ৪২ দশমিক ৫ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে পাবলিকলি ও নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি এবং মার্চেন্ট ব্যাংক খাতে বিদ্যমান করের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ কারণে পুনঃবিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়তে পারে।  
 
জিডিপিতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বিদ্যমান ২৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ২৫ দশমিক ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হলেও কর্পোরেট করের হার কমানো না হলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। অথচ জিডিপিতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ শতাংশ বাড়াতে হলে প্রায় ২৪-২৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রয়োজন।  
 
প্রস্তাবিত বাজেট মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। যার মধ্যে এনবিআরের উৎস থেকে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য করের আওতা বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি বলে ডিসিসিআই মনে করে।  
 
প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি অবকাঠামো খাতে ২৪ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা এবং যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৪৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।  

তবে ঢাকা চেম্বার মনে করে, অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করা আবশ্যক।
 
ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, রেলখাতের উন্নয়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১১ হাজার ১৫৫ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ৩ শতাংশ এবং এটাকে ৭ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন। কারণ রেলপথ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহন সম্ভব, যা ব্যবসার ব্যয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।  
 
তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০-এর নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও টাস্কফোর্স গঠনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এ লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল কমিটি ফর মনিটরিং অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন’ শীর্ষক কমিটিতে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রস্তাবিত ওয়ানস্টপ সার্ভিসের একই স্থান থেকে অনলাইনভিত্তিক ১৫০টি সেবা প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন বলে ঢাকা চেম্বার মনে করে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৮
এসই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।