ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

বাজেট মানেই দাম বৃদ্ধির চাপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
বাজেট মানেই দাম বৃদ্ধির চাপ বাজেট প্রতিক্রিয়া জানতে রাজধানীর গণপরিবহনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের

ঢাকা: প্রতি বছর প্রস্তাবিত বাজেটের পর সরকারের পক্ষের লোকেরা বক্তব্য দেন, বাজেট জনকল্যাণকর ও বাস্তবায়নযোগ্য হয়েছে। অন্যদিকে সুশীল সমাজের একটি অংশ সরকারের পক্ষে থাকলেও বিরোধী দলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বাজেটের কড়া সমালোচনায় মুখরিত হতে দেখা যায়।

আর সাধারণ জনগণের নজর থাকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ কোন পণ্যের দাম বাড়লো আর কোন পণ্যের দাম কমলো, জীবনযাত্রায় নতুন বাজেটের কী কী প্রভাব পড়েবে সেদিকে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন।

বরাবরের মতো এবারও সেই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ব্যতিক্রম হয়নি।  

শুক্রবার (০৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসযাত্রীরা বাজেট পরবর্তী মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান।

মিরপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচলকারী হিমাচল পরিবহনের যাত্রী শাকিল আহমেদ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পেরুনো এই তরুণ বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে মনে হয় বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়টি হচ্ছে বাজেটের ঘাটতিগুলো পূরণ করা আর প্রণীত বাজেটটি বাস্তবায়ন করা। তবে এবারের বাজেটে যে ঘাটতি দেখানো হয়েছে তা সরকার খুব সহজেই পূরণ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে আমরা সাধারণ জনগণ সঠিকভাবে কর প্রদানের মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারি। আমার কাছে মনে হয়েছে এবারের বাজেটটি জনকল্যাণমূলক ও বাস্তবায়নযোগ্য।

একই পরিবহনের আরেকজন বয়স্ক যাত্রী বাজেট সম্বন্ধে মন্তব্য করলেন ঠিক বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদদের মতোই। মাহবুবুর রহমান নামে ওই যাত্রী বলেন, এবারের বাজেট হচ্ছে নির্বাচনী বাজেট। তাই সরকার খুব চালাকি করে বাজেট প্রস্তাব করেছে। যাতে কোন প্রকার বিতর্ক সৃষ্টি না হয় এবং সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ে। লক্ষ্য করে দেখেন গতবার যে পরিমাণ পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছিল এবার তা হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে বেশকিছু অপ্রয়োজনীয় কর আরোপ করেছে সরকার। এই তথ্য-প্রযুক্তির যুগে মোবাইলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন ছিল না। যদিও এনার্জি ড্রিংকস, প্রসাধনী সামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসের ওপর করারোপের বিষয়টি আমি সমর্থন করি। কিন্তু ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ওপর কর বসানোর মাধ্যমে আমরা পিছিয়ে পড়বো বলে মনে করি।

রাজধানীর আরেক যাত্রী সাইফুল ইমাম জোর দিলেন প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নের ওপর। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যারা অর্থমন্ত্রী হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই অনেক বেশি বিজ্ঞ অর্থনীতিবিদ। তাদের প্রত্যেকের বাজেট প্রণয়নের ওপরেই আমার আস্থা ছিল এবং আছে। হয়তোবা রাজনৈতিক প্রভাবে মাঝেমধ্যে কিছুটা অনিয়ম বাজেটেও লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু যে বাজেট প্রণয়ন করা হয় তা বাস্তবায়ন করতে পারলে আমাদের আর কোনো সমস্যা থাকার কথা না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।