ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

এক কাপ চা চাইলে অর্ধেক মেলে স্টলে!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
এক কাপ চা চাইলে অর্ধেক মেলে স্টলে! বাম থেকে দোকানি মোজাম্মেল হক ও নুরুল আমিন

ঢাকা: ‘বাজেট বুঝিনারে ভাই, দাম বাড়ে এইটেই বুঝি। আস্তে আস্তে বাড়লে মানুষের মানাইয়ে নিতে সুবিধা অয়। কিন্তু বাজেট আইলেই তো দাম বাইড়া যায়।’ কথাগুলো বলছিলেন মগবাজারের মুদির দোকানি মোজাম্মেল হক।

কারওয়ান বাজারের চায়ের দোকানি আইনাল আলীর কথায়, ‘বাজেট হইলো দাম বাড়ানোর মৌসুম। এইডা সংসদে অর্থমন্ত্রী দেয়।

কিন্তু হের পরেই দাম বাড়া শুরু করে। কোনো জিনিসের দাম বাজেটের আগের দিন থাইকাই বাড়তে শুরু করে। ’
 
ভোটের বছরে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা দিয়েছেন। যা এখনও পাস হয়নি। কার্যকর হবে তারও পর। তার আগেই কিছু পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। যার প্রভাব পড়ছে নিন্ম আয়ের মানুষের ওপর। বেড়ে গেছে সিগারেট ও দুধের দাম।
 
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ক্ষুদ্র দোকানিরা বলছেন, একটা পণ্যের সঙ্গে আরেকটা পণ্যের দাম সম্পর্কযুক্ত। একজন রিকশাওয়ালা যখন ফুটপাতের দোকান থেকে একটা পাউরুটি, একটা সিগারেট আর এক কাপ চা খেয়ে আগের চেয়ে বেশি বিল দেন, তখন তিনি রিকশা ভাড়াও বেশি চান। তাদের মতে, এই যে বাজেট হলেই দাম বাড়ে, এটা নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।
 
এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ী, আড়তদাররা বাজেটের আগে থেকেই পণ্য মজুদ করে বাজেটের আগের দিন দাম বাড়িয়ে দেয়। এই কাজটাই প্রতি বছর হয়। ফলে হঠাৎ দাম বাড়ায় অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষ।
 
ইস্কাটনের দোকানি নুরুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচ বছর আগে রাজধানীতে চায়ের দোকান দিয়েছি। বাজেট এলেই সিগারেট, চা পাতা, দুধ ইত্যাদির দাম বেড়ে যায়। এটা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। হঠাৎ দাম বাড়লে কাস্টামারদেরও বোঝানো যায় না।
 
দাম বাড়লে লাভ করেন কিভাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এক কাপ চা কি আর এক কাপ আছে? আধা কাপ হয়া গ্যাছে কবেই। স্বাদ আছে? এইভাবেই লাভ অয়। মজাও কম, দামও বেশি। ’
 
মোজাম্মেল হক বলেন, সব জিনিসেরই ভালো-মন্দ আছে। বাজেটেরও আছে। নইলে গরিব মানুষের কষ্ট বাইড়া যায় কেন! দিন দিন জিনিসপত্রে দাম তো কেবল বাড়ে, কমে তো আর না। দেশের উন্নয়ন যেমন হইতাছে, তেমনি মানুষের অর্থকষ্টও তো অনেক। এইগুলা নিয়া সরকারের ভাবা উচিৎ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
ইইউডি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।