ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

বাজেট বাস্তবায়ন খুবই কঠিন: মুহিত 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
বাজেট বাস্তবায়ন খুবই কঠিন: মুহিত  সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ফাইল ফটো

ঢাকা: বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাজেট বাস্তবায়ন খুবই কঠিন। কারণ মানুষ ট্যাক্স দিতে চায় না। ট্যাক্স আদায়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা (বাংলাদেশ) নিচের দিকে। 

সংসদে বাজেট উত্থাপনের পর বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।  

এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করা হয়।

রীতি অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন।  

তবে অসুস্থতা বোধ করায় তার অনুরোধে অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বাজেট বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় সংসদের ভিআইপি গ্যালারিতে বক্তৃতা শুনছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত।  

পরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এক প্রতিক্রিয়ায় মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, বাজেট ডিক্লেরেশন (ঘোষণা) খুবই সুন্দর হয়েছে। অতীতে বাজেট উপস্থাপনের সময় আমি আমার বক্তব্যের কোথায়ও বক্তব্য ও তথ্য উপাত্ত তুলে ধরতাম না। কিন্তু এবার অর্থমন্ত্রী উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট তুলে ধরেছেন।  

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। ইট উইল বি চ্যালেঞ্জিং, নো ডাউট। কারণ উপলব্ধি করতে হবে যে আমাদের জনগণ মোটেই ট্যাক্স দেয় না! আমাদের ট্যাক্স প্রদানের র‌্যাশিও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন একটি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, বাজেটে যে পরিমাণ ঘাটতি আছে, তা পূরণ কর‍া ইটস অ্যা বিগ চ্যালেঞ্জ। আমি বলে দিয়েছি, ইটস এ বিগ টার্গেট। কারণ এই দেশে আমরা খুব কম ট্যাক্স দিই।

সাবেক এই অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটের প্রেজেন্টেশনে বাজেটের উপাদানগুলো রাফলি উপস্থাপন করা হয়েছে। যতটুকু শুনেছি ইটস অ্যা অ্যাজ ইউজুয়াল বাজেট। এই বাজেটে শিশুদের জন্য একটি উদ্যোগ আছে। এটি খুব ভালো। অন্যগুলো যেভাবে বাজেট হয়, সেভাবে হয়েছে।

তবে তিনি এও বলেন, এবারের বাজেট উপস্থাপনের স্টাইলটা ডিফারেন্ট। আমার বাজেট ছিল লম্বা বক্তৃতা। এবার শুধু ব্রিফ দেওয়া হয়েছে। বিস্তারিত চলে গেছে বইয়ে। বই না পড়ে আমিও সঠিক মতামত দিতে পারবো না।  

‘শুরুতে মন্ত্রী সাহেব অনেকগুলো বিষয় উপস্থাপন করেছেন। একটুখানি বলে প্রামাণ্য চিত্র দিয়েছেন। ইট ওয়াজ ভেরি নাইস। তবে আই অ্যাভয়েড ইট। আমার বক্তৃতায় কোনো কোটেশন ছিল না। একমাত্র উপসংহারে বঙ্গবন্ধুকে কোট করতাম। ’

এবারের বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা।

বাজেটে ঘাটতি দাঁড়াবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস হতে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা।

এবারের বাজেটে বড় আকারের ব্যয় মেটাতে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এটি জিডিপির ১৩ দশমিক ১ শতাংশের সমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮/আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।