ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

বাজেট প্রত্যাশা: দ্রব্যমূল্য ও দুর্নীতির লাগাম টানুন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
বাজেট প্রত্যাশা: দ্রব্যমূল্য ও দুর্নীতির লাগাম টানুন রাজধানীর জুরাইন এলাকার কাঁচাবাজার | ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে তা জনগণের নাগালে আনার পাশাপাশি দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার (০১ জুন) রাজধানীর পোস্তাগোলা ও শনির আখড়া এলাকার বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের কাছে আসন্ন বাজেটে সরকারের কাছে প্রত্যাশা বিষয়ে জানতে চাইলে তারা এ দাবি জানান।

তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। দুর্নীতির কারণে জনগণের টাকা গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজের পকেটে চলে যাচ্ছে। সরকারকে অনুরোধ করব—দয়া করে দুর্নীতি এবং দ্রব্যমূল্য দুটোরই লাগাম টানুন।

রাজধানীর শনির আখড়ার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, করোনা মহামারির কারণে বহু মানুষ বেকার, বহু মানুষের আয় কমে গেছে। অথচ কাঁচাবাজার থেকে মুদি বাজারে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমরা সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছি। সরকারের উচিত এখনই দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরা এবং তা সাধারণ জনগণের নাগালে নিয়ে আসা।

বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সাধারণ মানুষ ডাল-ভাত যোগাড় করতে করতে জীবন শেষ যাচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের জনগণের টাকা গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজের পকেটে চলে যাচ্ছে। সুতরাং শুধু লাখ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে লাভ নেই। দুর্নীতি নির্মূল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে আরও আন্তরিক এবং কঠোর হওয়া উচিত।

মিজানুর রহমান বর্তমান সরকারের সময়ে অনেকগুলো মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজেরও প্রশংসা করেন।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকার মুদি দোকানদার আবুল খায়ের বলেন, আমরা বাজেট বুঝি না। আমরা শান্তিতে স্বচ্ছলভাবে জীবন পার করতে চাই। যেভাবে বাজেটকে সাজালে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে সে রকম একটা বাজেট চাই।

তিনি আরও বলেন, বাজেটে দুর্নীতি নির্মূল, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য—এই বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি।

দ্রব্যমূল্য বেশি থাকার কারণে বিক্রি কম জানিয়ে জুরাইন মেডিকেল রোড পোকার বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আসলাম বলেন, কাঁচা সবজির দাম দিন দিন বাড়তেছে, আমরা ক্রেতাদের কম দামে দিতে পারছি না। যা আনতেছি বিক্রি করতে পারছি না। তার ওপর আজকে বৃষ্টিতে সব ডুবে গেছে। আমরা মালামাল নিয়ে বসে আছি। আমরা চাই বাজেটে জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকুক।

এখনকার আরেক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বলেন, যে কোন পণ্যের দাম বেশি। দাম বেশি কাস্টমারকে বুঝাইতে পারতেছি না, আমরা ঠিক মতো বিক্রি করতে পারতেছি না।

তিনি বলেন, আমাদের এই বছর উচিত সব জিনিস পত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে আনা। সব কিছুর দাম কম থাকলে আমরা গরিব মানুষ চইলা ফিইরা খাইতে পারব।

রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকার ক্ষুদ্র রবিউল আলম বলেন, বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে হয়তো বড় বড় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের লাভ হয়। কিন্তু বাজার স্থিতিশীল থাকলে, পণ্যের দাম কম থাকলে আমাদের বিক্রি বেশি হয়, লাভও বেশি হয়। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

আগামী ২ জুন জাতীয় সংসদের ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আগামী ৩ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।