ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

উন্নয়ন ব্যয় বাড়িয়ে অনুন্নয়ন ব্যয় কমানো উচিত ছিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২১
উন্নয়ন ব্যয় বাড়িয়ে অনুন্নয়ন ব্যয় কমানো উচিত ছিল ড. ফাহমিদা খাতুন

ঢাকা: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, চলমান করোনা মহামারির মধ্যে সরকারের উচিত ছিল উন্নয়ন ব্যয় বাড়িয়ে অনুন্নয়ন ব্যয় কমানো। সেটা হয়নি।

আগামী অর্থবছরে জনপ্রশাসন খাতে মোট বরাদ্দের এক তৃতীয়াংশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পরে এক ভার্চ্যুয়াল প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, এসএমই ঋণ দেওয়াকেও সমর্থন করছে সিপিডি। ব্যক্তি করের আয় সীমা ওপরের দিকে না বাড়লেও নিচের দিকে বাড়ানো হয়েছে। তাই আমরা বলছি কর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কেননা নিম্ন আয়ের মানুষের কর দেওয়ার সীমা রেখা আরেকটু বাড়ানো হলে মানুষের হাতে খরচ করার মতো আয় হাতে থাকতো। এতে তারা খরচ করতে পারতো। অর্থনীতিতে এগ্রিগেট ডিমান্ডটা বাড়তো। যা বিনিয়োগেও সহায়তা করতো। আমরা যে পুনরুদ্ধারের কথা বলছি তাতেও সহায়তা করতো। এ সময়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের ভোগ ব্যয় বাড়ানো ও সরকারের ব্যয় বাড়ানো। আরেকটা বিষয় দেখা যাচ্ছে সরকারি ব্যয়ের বর্ধিত বরাদ্দের এক তৃতীয়াংশ জনপ্রশাসনে দেওয়া হয়েছে। আমরা উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানো ও অনুন্নয়ন ব্যয় কমানোর কথা বলছি। অনুন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে ব্যয় করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকার ঘোষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে না। কারণ চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ। সামষ্টিক অর্থনীতির কাঠামোটা (রাজস্ব আয়-ব্যয়, মূল্যস্ফীতি) বাস্তবোচিত হয়নি বলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ মনে করছে। যে অনুমিতগুলো দেওয়া হয়েছে সেগুলো অনেকখানি দুর্বল। রাজস্ব কাঠামোতে বড় ধরনের তেমন পরিবর্তন নেই। সংশোধিত বাজেটের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, গত ১০ মাসে বাজেট বাস্তবায়নের হারের সঙ্গে রাজস্ব কাঠামোর অমিল রয়েছে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশ বাড়াতে হবে, যা অনেকটা বেশি। বাজেটে অর্থায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা কাঠামোগত পরিবর্তন দেখছি।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বিদেশি উৎস থেকে যে অর্থায়ন দেখানো হয়েছে সেটা প্রয়োজন হতে পারে। ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রয়োজন হতে পারে। ঘাটতি বাজেটটা বিদেশি অর্থায়নে পূরণ করতে পারলে ভালো। বিদেশি ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে এখন আমরা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছি। ঋণ জিডিপি রেশিও একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে। সেই স্বস্তিদায়ক অবস্থার মধ্যে যাতে থাকি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। করের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সেটা ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে নয়, ব্যবসাকে লক্ষ্য করে। সেগুলো ব্যবসা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। এআইটি ব্যবসার উৎপাদন বাড়াবে এটা একটি ইতিবাচক।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২১
এসই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।