সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের নাজমা খাতুনরা দুই বোন। দুইজনের মধ্যে নাজমা বড়।
নাজমা খাতুন বলেন, আমি বাবাকে বলতাম, আমাকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে হবে না। আমি ঠিকই তোমাদের উপার্জন করে খাওয়াব। বাবা বলতেন, চাকরি পেতে গেলে তো টাকা লাগে। বাবার সেই আশঙ্কা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমি নিজ যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পেয়েছি।
ঠিক একইভাবে কলারোয়া উপজেলার খলসি গ্রামের আনোয়ারা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, ছেলে আজিজুল ইসলামকে নিয়ে খুবই হতাশ ছিলাম ও কলেজে পড়ে। ভাবতাম ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়ার সামর্থ আমাদের নেই। স্বামী যা আয় করে, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। কিন্তু প্রমাণিত হয়েছে, চাকরি বিনা পয়সাতেও হয়।
সম্প্রতি সাতক্ষীরায় সাড়ে ৬ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে ৪১ জন কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। আর এ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চাকরিপ্রাপ্তদের এবং তাদের অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া এমনই।
নিয়োগকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, সব ধরনের প্রভাব মুক্ত থেকে যথাযথ যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় ৪১টি পদের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন সাড়ে ছয় হাজার প্রার্থী। এর মধ্যে মাঠ পরীক্ষায় যোগ্যতা অর্জন করেন ১ হাজার ৬৪০ জন। তারমধ্যে লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন ৩০৮ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১১৩ জন। ২৪ নভেম্বর মৌখিক ও মনস্তাত্বিক পরীক্ষায় ৪১ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৪১ জনকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অনুসরণ করা হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা, পোষ্য কোটা ও নারী কোটা। মাত্র ১০০ টাকা খরচ করে চাকরি পেয়েছেন ৪১ জন তরুণ-তরুণী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এনটি