ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাতিরঝিল প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৩
হাতিরঝিল প্রকল্প উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

হাতিরঝিল থেকে: জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হলো স্বপ্নের হাতিরঝিল প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে ফলক উম্মোচনের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।

প্রকল্প এলাকায় এলে প্রধানমন্ত্রীকে ঐতিহ্যবাহী সুসজ্জিত হাতি ও বাংলাঢোল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

ঢাকা মহানগরীর পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগের লক্ষ্যে ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেস রোড নির্মাণ, স্থানীয় জনগণের যোগাযোগ সহজ করার জন্য ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সার্ভিস রোড, ৪৭৭ দশমিক ২৫ মিটার দীর্ঘ চারটি ব্রিজ নির্মাণ, পথচারী ও ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে যথাক্রমে ৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত এবং ৯ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ লেক সাইড ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ২৬০ মিটার দীর্ঘ তিনটি ভায়াডাক্ট নির্মাণ এবং প্রকল্প এলাকা যানজটযুক্ত রাখতে ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওভারপাস, ইন্টারসেকশন ও রাউন্ডঅ্যাবাউট নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রকল্পে ১০ দশমিক ৪৫ কোটি ঘনফুট বর্জ্য অপসারণ, ১০ দশমিক ৪০ কিমি মেইন ডাইভারশন স্যুয়ারেজ লাইন স্থাপন করে প্রকল্প এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে কার্যকর করে হাতিরঝিলের পরিবেশের বৈপ্লবিক উন্নতি সাধন করা হয়েছে।

হাতিরঝিল প্রকল্পের নানা দিক
এক হাজার ৯৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হাতিরঝিল প্রকল্প সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণ প্রকল্পটিকে দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। সোনারগাঁও হোটেল থেকে টঙ্গি ডাইভারশন রোড পর্যন্ত জলাশয়কে বলা হয় বেগুনবাড়ি খাল এবং টঙ্গি ডাইভারশন রোড থেকে রামপুরা ব্রিজের মধ্যবর্তী অংশের জলাশয়কে বলা হয় হাতিরঝিল।

এ প্রকল্পের আওতায় বেগুনবাড়ি খাল সংস্কার, খালের উত্তর পাশে ওয়াকওয়ে এবং দক্ষিণ পাশে টু-ওয়ে সার্ভিস রোড নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, টঙ্গি ডাইভারশন রোড থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত একটি অত্যন্ত আধুনিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র একদিকে চলাচলের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে এবং পাশাপাশি টু-ওয়ে সার্ভিস রোড নির্মাণ করা হয়েছে। এ রাস্তা নির্মাণের ফলে মগবাজার, মধুবাগ, উলন, মহানগর, দাসপাড়া, রামপুরা, মেরুল বাড্ডা, গুলশান, তেজগাঁও এবং বেগুনবাড়ি এলাকার লোকজনের যাতায়াত অত্যন্ত সহজ হবে।

এ পর্যন্ত প্রকল্পে মোট ৬টি ব্রিজ ও ৪টি ওভারপাসের নির্মাণ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি ব্রিজ লেকের উত্তর ও দক্ষিণ পাশের রাস্তাকে সংযুক্ত  করেছে। হাতিরঝিল লেককে বনানী লেকের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য আরো একটি ব্রিজ এবং হাতিরঝিলের সঙ্গে গুলশান লেকের সংযোগ স্থাপন করতে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ওভারপাসগুলো এক্সপ্রেসওয়েতে সব ধরনের যানবাহনকে হাতিরঝিল এলাকায় কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই চলতে সহায়তা করবে।

বর্তমানে গুলশান-মেরুল বাড্ডা লিংক রোডে একটি ব্রিজ ও প্রগতি সরণিতে দুটি ইউলুপের নির্মাণ কাজ চলছে, যা পরবর্তীতে নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। গুলশান-মেরুল বাড্ডা লিংক রোড ব্রিজ নির্মাণ শেষ হলে ঢাকা নগরীর অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচলেও যুগান্তকারী ঘটনার সূচনা করবে। প্রগতি সরণিতে ইউলুপ দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রগতি সরণি যানজটমুক্ত হবে। বর্তমানে ইউলুপ নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে, যা ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৩
আইএইচ/আরআর/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ