আমাদের প্রতিদিনকার শারীরিক চাহিদার অনেক খাদ্য উপাদান দরকার। যেমন, আমিস, শর্করা, চর্বি, মিনারেল, ভিটামিন ইত্যাদি।
আমি যা খাচ্ছি এগুলোতে ভিটামিন আছে তো? একজন আরেকজনকে পরামর্শ দেই, এটা খান, ওটা খান, প্রচুর ভিটামিন পাবেন।
কোনো কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তাকেও পরামর্শ দেই ডাক্তার সাহেব আমার শরীরে ভিটামিন কম, আমাকে ভিটামিনের ওষুধ দেন।
তাহলে আসুন জানি ভিটামিন কী?
ভিটামিন হচ্ছে জৈবিক উপাদান যা আমাদের শরীরে একেবারে তৈরি হয় না বা দরকারের চেয়ে কম তৈরি হয়। এই জৈবিক উপাদান অল্প পরিমাণে লাগে কিন্তু ধারাবাহিকভাবে শরীরের জোগান দিতে হয়। এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
ভিটামিন কতো প্রকার
এ পর্যন্ত তেরো ধরনের ভিটামিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যেমন—
১. ভিটামিন A
২. ভিটামিন B
৩. ভিটামিন B2
৪. ভিটামিন B3
৫. ভিটামিন B5
৬. ভিটামিন B6
৭. ভিটামিন B7
৮. ভিটামিন B9
৯. ভিটামিন B12
১০. ভিটামিন C
১১. ভিটামিন D
১২. ভিটামিন E
১৩. ভিটামিন K
ভিটামিন কী কাজ করে?
এক. ভিটামিন শরীরে বিভিন্ন কোষের স্বাভাবিকতায় সহায়তা করে।
দুই. কিছু কিছু হরমোনের কাজে সহায়তা করে।
তিন. এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
চার. ত্বকের স্বাভাবিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে।
পাঁচ. স্নায়ুর কাজ স্বাভাবিকভাবে করতে ভূমিকা রাখে।
ছয়. রক্তের কাজ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
ভিটামিনের স্বল্পতার প্রভাব
১. রাতকানা
২. রক্তস্বল্পতা
৩. চর্মরোগ
৪. রিকেট ও অস্টিওম্যালিসিয়া (হাড়ের রোগ)
৫. স্বায়ুরোগ
এই যে এতো দরকারী উপাদান ভিটামিন কিন্তু কখনো কখনো এর আধিক্য শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
অধিক ভিটামিনের ক্ষতিকর প্রভাব
এক. হাইপারভিটামিনসিস (ভিটামিন A)
দুই. তন্দ্রাভাব (ভিটামিন B1)
তিন. লিভারে বিরূপ প্রভাব (ভিটামিন B3)
চার. বমি বমিভাব ও ডায়রিয়া (ভিটামিন B5)
পাঁচ. হার্ট ফেইলিওর (ভিটামিন E)
কাজেই ভিটামিনের ঘাটতি যেমন কাম্য নয় এর আধিক্যও তেমনি কাম্য নয়। দরকার না হলে জোর করে বেশি ভিটামিনের ওষধ না খাওয়াই ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫