ঢাকা: ফিরে আসছে আগা খান গোল্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। দেশের ফুটবল থেকে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন ফুটবল আসরকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে আগা খান ফাউন্ডেশন।
২০০৮ সালের মে মাসে শিয়া ইসমালিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের ইমাম প্রিন্স করিম আগা খানের ঢাকা সফরের সময় টুর্নামেন্টটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আগা খানকে অনুরোধ জানান বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ওই বছর জুলাইয়ে ঢাকাস্থ আগা খান ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ফুটবল ফেডারেশনকে পাঁচ বছরের জন্য বাজেটসহ পরিকল্পনা পেশ করতে বলে।
সে বছর ১০ জুলাই হোসাইন হায়দার আলীর নেতৃত্বে আগা খান ফাউন্ডেশনের অঙ্গসংস্থা শিয়া ইমামি ইসলামিক কাউন্সিলের কর্মকর্তারাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ জানিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যেই টুর্নামেন্টটির বিষয়ে তাদের সঙ্গে চুক্তি হবে এবং ২০০৯ এর শুরুতেই আগা খান গোল্ড কাপ প্রতিযোগিতা হবে। সে আলোচনা ঝিমিয়ে পড়ায় আলোর মুখ দেখেনি টুর্নামেন্টটি।
চলতি মাসেই হঠাৎ করে ফের আগা খান গোল্ড কাপ ফুটবলের বিষয়ে ফের আগ্রহ দেখায় আগা খান ফাউন্ডেশন। এ বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা ও বিদেশি দলগুলোর আসা-যাওয়া ও হোটেলে অবস্থানের খরচসহ বিস্তারিত বাজেট দিতে বলে বাফুফেকে।
বাফুফের এক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান,“আট থেকে দশটি দল নিয়ে ২০১২তে আগা খান গোল্ড কাপ টুর্নামেন্টটি আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফেডারেশন। দেশের দুইটি ক্লাবসহ অন্তত ছয় দেশের একটি করে ক্লাবকে প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে বিদেশি ক্লাবগুলোর ক্ষেত্রে সার্কভুক্ত দেশগুলোকেই প্রাধান্য দিতে চাইছি আমরা। ”
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স কাপ হিসেবে খ্যাত আগা খান গোল্ড কাপ ১৯৫৮ সালে মাঠে গড়ায়। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পূর্বে প্রতিবছর নিয়মিত টুর্নামেন্টটি হতো। সত্তরের দশকে শুধুমাত্র ১৯৬৪ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ ও ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় খেলা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিযোগিতায় তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান ছাড়াও মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারত, শ্রীলঙ্কা দ. কোরিয়া, ইরান, ওমানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ক্লাব অংশগ্রহন করেছে।
বাংলাদেশেও ১৯৭১-’৭৫ টানা পাঁচ বছর খেলা হয়েছে। ক্রমেই জৌলুস হারাতে থাকায় ১৯৭৭ ও ’৭৯ সালের পর শেষবার ঢাকার মাঠে আগা খান গোল্ড কাপ প্রতিযোগিতা হয়েছে ১৯৮২ সালে। পরবর্তীতে আগা খান গোল্ড কাপের পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট গোল্ড কাপ টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ালেও ১৯৯৩ সালের পর সেটাও অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ২২ ডিসেম্বর, ২০১১