কুড়িগ্রাম: ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার দাপট থাকায় সূর্যের দেখা মিলছে না।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সকালে ঘর থেকে বেরোতে না পারায় বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশার জন্য দিনের বেলায়ও সড়ক-মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও আরও পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র প্রয়োজন বলে দাবি এলাকার শীতার্ত মানুষের। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছেন ছিন্নমূল ও হতদরিদ্ররা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া গবেষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সকালে জেলায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শুক্রবার কুড়িগ্রামে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত তিন দিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। তবে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বাংলানিউজকে জানান, এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আরও ১৫ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে। শিগগিরই তা বন্টন করা হবে, আশা করা হচ্ছে শীতবস্ত্র সংকট থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২
এফইএস/এএটি