চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এ কারণে তীব্র শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবনে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আদ্রতা রয়েছে ৯৪ শতাংশ। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত চারদিন ধরে রোদের দেখা মিললেও দুপুরের পর থেকে হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না জনসাধারণ। যারা বের হচ্ছেন তারাও গরম কাপড় পরে শীতের প্রস্তুতি নিয়েই বের হচ্ছেন। শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। টান পড়ছে আয় রোজগারে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তির সংখ্যা বেশি।
এছাড়া তীব্র শীতে কৃষকের ধান, গম ও আলু রোপণ ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে চলতি মৌসুমে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে।
প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণে কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। ভোর থেকে কাজের সন্ধানে অপেক্ষা করেও মিলছে না কাজ। ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত সোমবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার নেমে এসেছে তাপমাত্রার প্রারদ। আজ সকাল ৯টায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাসের ছিল আদ্রতা ৯৪ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ মাসে আরও দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
আরএ