ঢাকা: দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের মাত্রা বেড়েই চলছে। তবে নয় দিনের মাথায় এসে কিছুটা সুখবর মিলছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দখিনা বাতাস প্রায় নেই বললেই চলে। যার সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্পও আসছে না। ফলে বৃষ্টিপাতের দেখা নেই। তবে আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে দু’এক জায়গায় সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। আর ২৪ এপ্রিল থেকে বেশিরভাগ এলাকায় কালবৈশাখী ঝড় হবে।
এদিকে বৃষ্টিপাতের দেখা না মেলায় তাপপ্রবাহের তীব্রতা বেড়েই চলছে। এক্ষেত্রে দখিনা বাতাস না আসায় বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কম।
ওমর ফারুক বলেন, ৫০ শতাংশের মতো বাতাসের জলীয় বাষ্প থাকলে আমরা সেই অবস্থাকে স্বাভাবিক বলি। কিন্তু বর্তমানে ১৭ থেকে ২০ শতাংশের মতো জলীয় বাষ্প পাওয়া যাচ্ছে। এ রকম জলীয় বাষ্প থাকে শীতকালে। যে কারণে শরীরের ত্বক, বিশেষ করে হাত, পা, ঠোঁট ফেঁটে যাচ্ছে।
চৈত্রের শেষ সময়ে এসে এমন অস্বাভাবিক ত্বক ফেঁটে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ওমর ফারুক বলেন, অন্যান্য বছরও এপ্রিলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকে। তবে এবার একটু বেশিই কম। যে কারণে শীতকালের মতো ত্বক ফেঁটে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এক্ষেত্রে আরও কয়েকদিন থাকবে তাপপ্রবাহ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগসহ নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ৪ এপ্রিল থেকে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে তাপপ্রবাহ শুরু হয়, যা এখন প্রায় সারাদেশেই বিস্তৃত হয়েছে। বর্তমানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও এটি স্বল্প সময়ের জন্য তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
ইইউডি/আরআইএস