ঢাকা: 'তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ জারি বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য দিয়ে জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকাসহ বেশিরভাগ জেলায় রেকর্ড তাপমাত্রা পরিস্থিতিতে দেশে ‘তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ জারি করা হতে পারে উল্লেখ করে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এটি মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে উল্লেখ করে বলা হয়, বিষয়টিতে বিভ্রান্তির সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে বিধায় সবার অবগতির জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অবস্থান পরিষ্কার করা হলো।
'প্রকৃত বিষয় হলো, আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের আবহাওয়ার দৈনন্দিন বিষয় জনগণের অবগতির জন্য নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচার করে থাকে। চরম আবহাওয়ার কারণে জনগণের স্বাস্থ্যগত কোনো বিষয় থাকলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জনগণকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন নিয়ে কাজ করে থাকে।
বিষয়টি নিয়ে রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।
সেটি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের প্রতিনিধি পরিবেশমন্ত্রীকে 'তাপমাত্রা জনিত জরুরি অবস্থা’ জারি বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আবহাওয়া জনিত জরুরি অবস্থা জারি করার মতো কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বৃষ্টি হলেই এ তাপপ্রবাহ কমে যাবে। সরকার এ জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে কিনা তা ভবিষ্যতের বিষয়।
এদিকে 'মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো: বর্তমানে দেশে যে তাপপ্রবাহ চলেছে এজন্য মূলতঃ বৈশ্বিক তাপমাত্রা দায়ী। বৈশ্বিক এ তাপমাত্রা রোধে ইউএনএফসিসিসি- এর আওতায় বিশ্বব্যাপী নানাবিধ কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হালনাগাদ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন জমাদান, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে কর্মসূচি বাস্তবায়ন। বিশ্বের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা এ তাপমাত্রা রোধ করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস