ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

দশ বছর পর পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
দশ বছর পর পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ফাইল ফটো

ঢাকা: দশ বছর পর বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়েছে। এটিকে মিশ্রগ্রহণ বা বিরল সূর্যগ্রহণও বলা হয়।

বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটি ৩০ সেকেন্ডে শুরু হয়েছে, এটি শেষ হবে দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিট ১২ সেকেন্ডে।
 
আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৮টা ৩৭ মিনিট ৬ সেকেন্ডে, শেষ হবে ১১টা ৫৬মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। আর সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে ১০টা ১৬ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে।
 
পূর্ণ-বলয়গ্রাস শব্দটি হচ্ছে একটি মিশ্র শব্দ। অর্থাৎ এটি পৃথিবীর কোথাও কোথাও পূর্ণগ্রহণ হিসেবে ধরা দেবে। কোথাও আবার দেখা যাবে বলয়গ্রাস আকারে। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে বোঝায় চাঁদ যখন পৃথিবীর থেকে দূরে থাকে এবং সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই রেখায় অবস্থান করে; সেই সময় সূর্যের আলোকে চাঁদ পুরোপুরি ঢাকতে পারে না। আর পূর্ণগ্রাস হলো চাঁদ যখন সূর্যের আলোকে পুরোপুরি ঢেকে দেয়। সে সময় পৃথিবীতে কয়েক সেকেন্ডের জন্য রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে।
 
মিশ্রগ্রহণ বা পূর্ণ-বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হচ্ছে পূর্ণগ্রহণ দিয়ে শুরু হলে চাঁদ যখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে, একটু সরে যায়। ফলে তখন আর সেটি পূর্ণগ্রহণ থাকে না। বলয়গ্রাস হয়ে যায়। আবার কখনো সেটা বলয়গ্রাস দিয়ে শুরু হলেও একই কারণে পূর্ণগ্রহণে পরিণত হয়। আর এটি একেক জায়গায় একেক রকম দেখা যায়।
 
প্রতি ১৮ মাস অন্তর একটি করে সূর্যগ্রহণ হলেও মিশ্র সূর্যগ্রহণ খুব বিরল। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি) বলছে মাত্র ৪ শতাংশ হচ্ছে মিশ্রগ্রহণ। সর্বশেষ ২০১৩ সালে এমন গ্রহণ হয়েছিল। প্রতি ১০০ বছরে কয়েকটি গ্রহণ এমন হয়ে থাকে।
 
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এটি বাংলাদেশের আকাশে দেখা যাবে না। দৃশ্যমান হবে অ্যান্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ ভারত মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।
 
ফ্রান্সের নর্থ অ্যান্টার্কটিক ল্যান্ড থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে গ্রহণ শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩৮ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। ফ্রান্সের আলফ্রেড ফাউরে বন্দর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে কেন্দ্রীয় গ্রহণ শুরু হবে ৬টা ৫১ মিনিটি ৩৬ সেকেন্ডে।
 
কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওল্যান্ড দ্বীপ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে উত্তর প্রশাস্ত মহাসাগরে সন্ধ্যা ৬টা ১ মিনিট ২৪ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ হবে পূর্ব তিমুরের সুয়াই শহর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে তিমুর সাগরে দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে। আর গ্রহণ শেষ হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল আইল্যান্ড থেকে পশ্চিম দিকে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে সন্ধ্যা ৭টা ৮মিনিট ১৮ সেকেন্ডে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩
ইইউডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।