কক্সবাজার: সাগরে গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া মোখা রোববার (১৪ মে) আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের হাঁটু পানির চেয়ে গভীরে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
কক্সবাজারসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সৈকতে টানানো হয়েছে লাল পতাকা।
চলমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কে দিন পার করছেন উপকূলীয় বাসিন্দারা। মোখার প্রভাবে আগামী এক সপ্তাহ সাগর উত্তাল থাকবে। এজন্য গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছ। এদিকে যেসব জেলেরা সাগরে অবস্থান করছেন তারা উপকূলে ফিরতে শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। আর পর্যটকদের সর্তক করতে লাল পতাকা টানানো হয়েছে। বিপদ এড়াতে পর্যটকদের সমুদ্রে হাঁটু পানির নিচে নামতে দেওয়া হচ্ছে না।
কক্সবাজারে ঘুরতে আসা রফিক নামে এক পর্যটক বলেন, কক্সবাজারের এমন রূপ আগে কখনো দেখিনি। অবশ্য এমন পরিস্থিতি আগে কখনো আসাও হয়নি। এখানে এখন পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক থাকলেও থমথমে একটা ভাব আছে।
তিনি বলেন, এসেছি সমুদ্রে নামবো, লাফালাফি করবো, আনন্দ করবো। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব মাটি হয়ে গেল। সাগরে হাঁটু পানির বেশি নামতে দিচ্ছে না।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, ৭ মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউ টিন মজুদ রাখা হয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামমছুদ্দৌজা নয়ন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি শরনার্থী ক্যাম্প রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষতি এড়াতে শরণার্থী ক্যাম্পগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এসবি/জেডএ