সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আদি যমুনা নদী দখল করে গড়ে তোলা তিনতলা একটি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে শনিবার (১০ জুন) দুপুরের পর বুলডোজার ও এক্সকেভেটর দিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত ভবনটি ভাঙা শুরু হয়।
আদি যমুনা নদী দখল করে নির্মিত যাবতীয় স্থাপনা অপসারণের জন্য প্রায় দুই দশক ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শ্যামনগরবাসী।
শনিবার নকিপুর বাজারের প্রবেশদ্বার শ্যামনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন অংশে গড়ে তোলা নীলকমল নামের তিনতলা বাড়িটি ভাঙা শুরু হলে সব জায়গায় হৈ চৈ পড়ে যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মলয় কুমার গায়েন ঝন্টুর মালিকানাধীন ওই বাড়ি ছাড়াও ডা. আকবর হোসেন ও সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রভাবশালীর অবৈধ স্থাপনা অপসারণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে গোটা এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
উচ্ছেদ অভিযানের শুরুতে গত বৃহস্পতিবার দখলদারদের একটি পক্ষ সংবাদকর্মীসহ যমুনা বাঁচাও কমিটির সদস্যদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় সাতজনের নামে শ্যামনগর থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে মলয় কুমারসহ অন্যরা পলাতক। এ অবস্থায় শনিবার আবার নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে আদি যমুনা নদীর শ্যামনগর থেকে কালিগঞ্জ পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত পুনঃখনন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় ১৭ কিলোমিটার নির্বিঘ্নে দখলমুক্ত করে পুনঃখনন করা হলেও প্রভাবশালীদের কারণে শ্যামনগর সদরের প্রায় দুই কিলোমিটারের খনন কাজ আটকে যায়। পৌনে চার কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদী পুনঃখনন কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী তম্ময় হালদারের বিরুদ্ধে প্রভাবশালীদের পক্ষাবলম্বনের অভিযোগ উঠলে তাকে বদলি করা হয়।
যমুনা বাঁচাও কমিটির সদস্যসহ শ্যামনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বলেন, শ্যামনগরের জলাবদ্ধতা স্থায়ীভাবে দূর করতে আদি যুমনা দখলমুক্ত করার বিকল্প নেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন জানান, যমুনার ওপর ছোট বড় কোনো অবৈধ স্থাপনাই রাখা হবে না। যাবতীয় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর অবশিষ্ট অংশ পুনঃখনন শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
এসআই