ঢাকা: উপকূল এবং দেশের অভ্যন্তরে ঝড় বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় সব সমুদ্রবন্দরে তিন (৩) নম্বর সতর্কতা সংকেত তোলা হয়েছে। এ ছাড়া ২০ অঞ্চলের নদীবন্দরে তোলা হয়েছে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সব সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন আরও জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুক্রবার বিকেল নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ভারী (২৩-৪৩ মিলিমিটার) থেকে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ৮৬ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ