ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২৩
গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শ্যামল নিসর্গ নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের রোপণ করা ৮৫টি গাছের চারার গোড়া রাতের আঁধারে ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালের দিকে উপড়ে ফেলা গাছের চারাগুলোয় প্রতিবাদমূলক বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ঝুলছে -এমন চিত্রের দেখা মেলে।

 

ঝুলন্ত প্ল্যাকার্ডে লেখা রয়েছে, ‘মানুষের সন্তান গাছ হত্যা করতে পারে না’, ‘সবুজ মাঠে অবুঝ মানুষের প্রবেশ বন্ধ হোক’, ‘গাছের প্রতি বর্বরতা কেন?’, ‘অক্সিজেন কি অপরাধ’, ‘গাছের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ হোক‘, ‘গাছ খুনিদের বিচার চাই’।

জানা গেছে, জেলার হরিরামপুর উপজেলার শ্যামল নিসর্গ পরিবেশবাদী সংগঠনটি গত আড়াই মাস আগে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিভিন্ন জাতের গাছের চারা রোপণ করা হয়। ওই মাঠে গাছের চারা রোপণ করার জন্য যথাযথ নিয়ম মেনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিমুল, অর্জুন, তেঁতুল, ডেউয়া, নিম, আমলকী, হরীতকী, বহেরা, রুদ্র পলাশ, তমাল, বকুল ইত্যাদি গাছের চারা রোপণ করা হয়। শহর কেন্দ্রিক যে সব সদস্যরা আছেন, তারা প্রতিনিয়তই গাছগুলোর পরিচর্যা করে থাকেন। তবে গত ১ নভেম্বর বিকেলের দিকে গিয়ে দেখেন, গাছগুলো মেরে ফেলা হয়েছে। পরে ওই শ্যামল নিসর্গ সংগঠনের সদস্যরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানান।

শ্যামল নিসর্গ সংগঠনের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান বলেন, গাছ মানুষের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করে থাকে অর্থাৎ গাছ পৃথিবীর ফুসফুস। আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে গাছের চারাগুলো রোপণ করেছিলাম। যারা এই গাছগুলোর ভেঙেছেন, তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী মাকসুদা ইয়াসমিন বলেন, মাঠের গাছগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে -এমন বিষয় শুনেছি। কে বা কারা এ কাজ করেছে, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৩
এসআরএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।