চুয়াডাঙ্গা: হাড় কাঁপানো শীতে দিনের বেশিরভাগ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে চারপাশ।
এতে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। মাঘের আগেই পৌষের শেষে হাড় কাঁপানো ঠান্ডার জবুথবু এ অঞ্চলের জনজীবন। তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে অস্বাভাবিকভাবে। আজ এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েকদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। মধ্য বেলায় কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। এ কারণে দিনভর শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। সবচেয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষেরা।
চুয়াডাঙ্গা শহরে ইজিবাইক চালিয়ে সংসারের খরচ জোগান মাসুম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। শহরের বড়বাজার এলাকায় তিনি বলেন, ‘এখন প্রায় ১১টা বাজে তাও সূর্যের দেখা নেই। ঠান্ডায় হাত মনে হচ্ছে অবশ হয়ে থাকছে। হ্যান্ডেল ঠিকমতো ধরে রাখা যায় না।
আরেক অটোরিকশাচালক আবুল কাশেম বলেন, শীতের কারণে লোকজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। তাই ভাড়া হচ্ছে কম। আবহাওয়া এ রকম থাকলে সংসার চালানোই দায় হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান বলেন, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে। মূলত ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত না হওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে একটি শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
আরএ