ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে

দিনাজপুর ও পঞ্চগড়: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের দুই জেলা দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ে।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

যা এই মৌসুমে দেশের ও দিনাজপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। একই সময়ে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ে (৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।  

এর আগে ২৬ জানুয়ারি এই মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে দিনাজপুরের তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও ১০ ডিগ্রির নিচে থাকছে প্রায়শই।  

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩, শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ৭ দশমিক ৩, শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, তাপমাত্রা কমে দিনাজপুরের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেলেও এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে।

এদিকে, গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মৌসুমের ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বেড়ে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়।

টানা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে নাজেহাল দিনাজপুর ও পঞ্চগড়ের বাসিন্দারা।  কনকনে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় জেলা দুটির তাপমাত্রা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে।  

মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পর এবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে উত্তরের এ দুই জেলা। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। এই পরিস্থিতিতেও ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে তাদের। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এদিকে জবুথবু অবস্থায় থেকেও শীত নিবারণ হচ্ছে না বৃদ্ধ ও শিশুদের। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।

দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন গৃহপালিত ও বন্য প্রাণীরাও। ভারী কাপড়, পাটের বস্তা গবাদি পশুদের গায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন অনেকে।

 বাংলাদেশ সময়: ০৯০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।