সাতক্ষীরা: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় শ্যামনগর উপজেলার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট পানি বেড়েছে। এতে বাঁধের কানায় কানায় অবস্থান করছে পানি।
রোববার (২৬ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরের জোয়ারের সময় শেষ হলেও কমছে না নদীর পানি।
এতে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন।
তিনি জানান, দুপুরের জোয়ার শেষ হয়ে দুপুর ২টা ২০ মিনিট থেকে ভাটা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে পানি পরিপূর্ণ জোয়ারের মতোই রয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে রাতের জোয়ারের সময় ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরা উপকূলের নদ-নদী উত্তাল রয়েছে। মেঘলা আকাশের সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে। হচ্ছে বৃষ্টিও। এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ।
এদিকে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া রিমালের প্রভাবে দেশের ১৬ জেলায় ৮ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির সামনের অংশ ও বায়ুচাপের পার্থক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এসব জেলার কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৪
এসআইএ