ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

যমুনা-সুরমা-কুশিয়ারার মতো বন্যাপ্রবন নদীর পানি বাড়ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
যমুনা-সুরমা-কুশিয়ারার মতো বন্যাপ্রবন নদীর পানি বাড়ছে

ঢাকা: এবার যমুনা, ঘাঘট, পদ্মা, সুরমা ও কুশিয়ারার মতো বন্যাপ্রবন নদীর পানি বাড়ছে। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার এখনো আভাস নেই।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এমন তথ্য জানিয়েছে।

পাউবো'র নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, রংপুর বিভাগের তিস্তা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে ধরলা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, রংপুর বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের (≤৮৯ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ৩ দিন পর্যন্ত তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে। এর প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল এবং কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।

রংপুর বিভাগের অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— আপার আত্রাই, পুনর্ভবা, আপার করতোয়া, টাঙ্গন ও যমুনেশ্বরী নদী সমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, ইছামতি-যমুনা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে। অপরদিকে ঘাঘট নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৩ দিন পর্যন্ত রংপুর বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে।

রংপুর বিভাগের ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার ভাটিতে যমুনা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ০৫ দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে ও তার ভাটিতে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২ দিন পর্যন্ত গঙ্গা নদীর পানির সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে। অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ০৩ দিন গঙ্গা-পদ্মা উভয় নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

রাজশাহী বিভাগের আত্রাই, বাঙ্গালী, করোতয়া ও ছোট যমুনা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে মহানন্দা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানির সমতল ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং পরবর্তী ০২ দিন পানির সমতল হ্রাস পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১ দিন নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। পরবর্তী ২ দিন পর্যন্ত সিলেট বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার প্রেক্ষিতে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানির সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ— মনু, ভুগাই, সোমেশ্বরী ও ধলাই নদীসমূহের পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে, খোয়াই ও যাদুকাটা নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে সারিগোয়াইন ও কংস নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১ দিন নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তী ০২ দিন সিলেট বিভাগের এই সকল নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

চট্টগ্রাম বিভাগে মুহুরী নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, গোমতী, ফেনী, হালদা ও সাঙ্গু নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে মাতামুহুরী নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১ দিন নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। পরবর্তী ২ দিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের (৪৪-৮৮ মি.মি/২৪ ঘণ্টা) প্রবণতা রয়েছে, যার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগের মুহুরী, গোমতী ও ফেনী নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে, তবে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। অপরদিকে হালদা, মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীসমূহের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০,২০২৪
ইইউডি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।