ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

খাসিয়ার চরে ক্ষুধার্ত কুমিরের হানা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
খাসিয়ার চরে ক্ষুধার্ত কুমিরের হানা

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরের এক বাড়িতে একটি ক্ষুধার্ত কুমির হানা দিয়েছে। টের পেয়ে বাড়ির লোকজন বিশালাকৃতির কুমিরটি ধরে ফেলেছেন।

কুমিরটির ওজন প্রায় পাঁচ মণ হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।  

বুধবার (২ অক্টোবর) ভোরে খাসিয়ার চরের মাঝি বাড়ির হাঁস-মুরগির খোঁয়াড়ে হানা দিলে বাড়ির লোকজন কুমিরটি ধরে ফেলেন। পরে তারা সেটিকে উত্তর চরবংশীর চান্দেরখাল মাছঘাটে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন কুমিরটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।  

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে কুমিরটিকে বনবিভাগের লোকজন তাদের হেফাজতে নেয়।

খাসিয়ার চরের বাসিন্দা শাহ আলম মাঝি বলেন, কুমিরটি আমার বাড়ি থেকে ধরা হয়েছে। বুধবার ভোরে আমাদের বাড়িতে কুমিরটি আসে। পরে সেটি বাড়ির পাশের পুকুরে নেমে যায়। সারাদিন ওই পুকুরেই ছিল। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা কুমিরটি ধরার উদ্যোগ নেন।

তিনি বলেন, বুধবার রাতে আবার কুমিরটি আমাদের হাঁস-মুরগি খেতে খোঁয়াড়ে হানা দেয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কুমিরটি ধরতে সক্ষম হই।

আমাদের বাড়ি থেকে মেঘনা নদীর দূরত্ব দুই কিলোমিটার। কুমিরটি নদী হয়ে ফসলি ক্ষেতের ভেতর দিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে, যোগ করেন তিনি।

স্থানীয় মো. সিরাজ মিয়া বলেন, আমি স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে কুমিরটি ধরেছি। পরে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেওয়া হলে কুমিরটি উদ্ধার করা হয়।  

স্থানীয় খলিল মাঝি বলেন, চরের দিকে আরও কুমির থাকতে পারে। এক মাস আগে থেকে লোকজন নদীতে এবং খালে কুমির দেখেছেন। দুই সপ্তাহ আগে আলতাফ মাস্টারের পুরোনো মাছঘাটে বাবলু নামে এক ব্যক্তিকে কুমির কামড় দেয়। তাকে বরিশালের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিলাল হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবক বলেন, ২০ দিন আগে আমি উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে ঘুরতে যাই। তখন খালপাড়ে একটি কুমির দেখতে পাই। ফোনেও কুমিরের ছবিও তুলেছি। এলাকায় আরও কুমির থাকতে পারে।  

রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের ফয়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় লোকজন কুমিরটি ধরেন। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করি।

রায়পুর বনবিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটি জেলা অফিসে পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

তিনি বলেন, বন্যার কারণে পানি বেড়ে যাওয়ায় কোনো এলাকা থেকে খাবারের খোঁজে কুমির এ অঞ্চলে চলে আসতে পারে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।