ঢাকা, শুক্রবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ মে ২০২৫, ২৫ জিলকদ ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

চলছে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম, প্রাণহানি রোধসহ ক্ষয়ক্ষতি কমাতে যা করবেন

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮:২১, মে ২৩, ২০২৫
চলছে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম, প্রাণহানি রোধসহ ক্ষয়ক্ষতি কমাতে যা করবেন সংগৃহীত ফাইল ছবি

সাতক্ষীরা: এপ্রিল থেকে মে এবং অক্টোবর থেকে নভেম্বর হলো ঘূর্ণিঝড়প্রবণ মাস। সে হিসাবে এখন চলছে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম।

ইতোমধ্যে আবহাওয়াবিদরা চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে দুটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এবং তাই দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলা ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে রয়েছে।

বাংলাদেশ আহবাওয়া অধিদপ্তর বুধবার (২১ মে) পূর্বাভাসে বলেছে, আগামী পাঁচদিনে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। তার আগে বাড়বে তাপমাত্রা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করেছে।  

কানাডা প্রবাসী আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে দুটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন।

ভারত আবহাওয়া বিভাগও আন্দামান সাগরে একটি উচ্চ-বাতাসের ঘূর্ণিঝড়ের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেল ৫টায় আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে যাচ্ছে এই বিষয়ে বিশ্বের প্রধান-প্রধান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো একমত। আগামী ২৭ মে লঘু চাপ, ২৮ মে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপ এবং ২৯ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে মন্থা। নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। এখানে উল্লেখ্য যে, বঙ্গোপসাগরে এই ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হওয়ার আগেই আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এর নাম হবে শক্তি, নামটি শ্রীলংকার দেওয়া। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মন্থা আগামী ২৮ মে মধ্য রাতের পর থেকে ২৯ মে মধ্য রাতের মধ্যে ভারতের ওড়িশা উপকূল ও মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলের মধ্যবর্তী যে কোনো স্থানের ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল লিখেছেন, ‘এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে, ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোন স্থানের ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে’।

বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের সময় বিপুল বৃষ্টির ফলে অনেক অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়। এ কারণে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা শুধু দেশের জীবন ও সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতিই করে না, বরং এটা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসকরণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) সাতক্ষীরা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মুন্সী নুর মোহাম্মদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় অল্প সময়ে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জীবন, জীবিকা ও সম্পদ এবং পরিবেশের ভয়ানক ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা রাখে। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন যখন জলোচ্ছ্বাসসহ উপকূলে আঘাত করে তখন ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এমতাবস্থায় দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব প্রস্তুতি প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমতে পারে। এজন্য সিপিপি উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ পূর্ববর্তী সময়ে, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থেকে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি তাদের সচেতন করতে কাজ করছে।

তিনি জানান, দুর্যোগ মৌসুম চলায় তারা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সভাও করেছেন।

এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর কেন ঘূর্ণিঝড়প্রবণ মাস বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়গুলোর বেশির ভাগই ঘটেছে এপ্রিল-মে এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে।

সিপিপির তথ্য মতে, স্বাধীনতা পূর্ব ১৯৭০ সালে ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে (ভোলা সাইক্লোন) প্রায় ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে ১৯৯১ সালের ২৯-৩০ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক লাখ ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এবং সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় সিডরের বাতাসের তীব্রতা ছিল ঘণ্টায় প্রায় ২৬০ কিলোমিটার যা অতীতে বাংলাদেশে আঘাত করা যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের চেয়ে অনেক বেশি। এরপর ২০০৮ সালের ২৬-২৭ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় রেশমি, ২০০৯ সালের ১৯-২১ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড় বিজলি, ২০০৯ সালের ২৭-২৯ মে ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০১৩ সালের ১-১৭ মে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন, ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই ঘূর্ণিঝড় কোমেন, ২০১৬ সালের ২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু, ২০২০ সালের ২০ মে ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ২০২২ সালের ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, ২০২৩ সালের ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় মোচা, ২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় হামুন, ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলি এবং ২০২৪ সালের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানে।

ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধ করার ক্ষমতা মানুষের নেই। বাস্তব এই প্রেক্ষাপটে, ঝুঁকি ও ক্ষতি কমাতে পারিবারিক পর্যায়ে প্রস্তুতি গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর পারিবারিক পর্যায়ে ঘূর্ণিঝড়ের আগে, ঘূর্ণি ঝড়ের সংকেত পাওয়ার পর ও ঘূর্ণিঝড়ের পরে করণীয় নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আগে করণীয়

* এলাকায় আঘাত করার আগের ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের তীব্রতা ও জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতাকে বিবেচনায় নিয়ে আগের চেয়ে ভিটা উঁচু ও মজবুত করে দুর্যোগ সহনশীল ঘরবাড়ি তৈরি, টিউবওয়েল ও স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করতে হবে।

* সুপেয় পানির সংকট দূরীকরণে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও সব প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হবে।

* নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসতভিটার চারপাশে ঝড় সহনশীল গাছ (তাল, নারকেল, সুপারি ইত্যাদি) লাগাতে হবে।

* গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির আবাসস্থল আগের চেয়ে উঁচু ও মজবুত করতে হবে এবং দুর্যোগকালীন কথা বিবেচনা করে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রাখতে হবে।

* দুর্যোগকালীন কথা বিবেচনা করে শুকনো খাবারসহ খাদ্যশস্য (চাল, ডাল, চিড়া, মুড়ি, গুড় ইত্যাদি) মজুত রাখতে হবে। খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ওষুধপথ্য এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী ঘরে রাখতে হবে এবং নগদ টাকা সঞ্চয় করতে হবে।

* ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র/নিরাপদ আশ্রয়স্থান দেখে সেখানে যাওয়ার পথ চিনে রাখতে হবে।

* পরিবারে যদি গর্ভবতী নারী, শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী এবং অসুস্থ ব্যক্তি থাকে তবে জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওবার পরিকল্পনা নিতে হবে।

* এলাকার দায়িত্বে থাকা সরকারি-বেসরকারি সংস্থার স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ অনুযায়ী পানিবাহিত ও চর্মরোগ এবং কম-বেশি তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতায় করণীয় সম্পর্কে পরিবারের সবাইকে সচেতন করতে হবে।

* রেডিও-টেলিভিশন থেকে অথবা ১০৯০ নম্বরে ফোন করে নিয়মিত আবহাওয়া বার্তা শোনার অভ্যাস করতে হবে।

* স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আপদকালীন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী পারিবারিক প্রস্তুতি নিতে হবে।

* দুর্যোগকালে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন এবং মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের জন্য তাদের নাম ও ফোন নম্বর সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে।

* ঘূণিঝড়-সংকেত ও করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে এবং এ বিষয়ে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নিতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় চলাকালে (সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর থেকে) করণীয়

* সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে যোগাযোগ রাখা এবং তাদের প্রচারিত সংকেত অনুযায়ী প্রয়োজনীয়
 প্রস্তুতি নিতে হবে।

* মোবাইল ফোনে ১০৯০ নম্বরে ফোন করে বা রেডিও-টেলিভিশন থেকে ঘন ঘন আবহাওয়ার সংবাদ শুনব ও ঝড়ের হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে অবগত হয়ে পরিবারের সবাইকে অবগত করতে হবে।

* প্রয়োজনীয় ও মূল্যবান সামগ্রী, যেমন: নগদ অর্থ, অলংকার, ভিজিডি-ভিজিএফ কার্ড, জাতীয় পরিচয়পত্র, মুক্তিযোদ্ধা সনদ, ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণের কাগজ-পত্র, শিক্ষা সনদসহ অন্যান্য দলিল ও নথিপত্র সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

* শুকনো খাবার, যেমন: চিড়া, মুড়ি, গুড়, নারিকেল ইত্যাদি ও সুপেয় নিরাপদ পানি সংরক্ষণ করতে হবে এবং ঝড়ের পরেও প্রয়োজন হতে পারে এমন জরুরি সামগ্রীগুলো মাটিতে পুঁতে, পুকুরে ডুবিয়ে অথবা শক্ত গাছের সাথে বেঁধে রাখতে হবে।

* আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, পোশাক, ওষুধ ও খেলনা সাথে নিতে হবে।

* নিচু জায়গায় স্থাপন করা টিউবওয়েল খুলে পাইপের মুখ পলিথিন দিয়ে বেঁধে দিতে হবে।

* গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখতে হবে অথবা ওদের বাঁধন খুলে মুক্ত করে দিতে হবে।

* বিপদ সংকেত (২ পতাকা) পাওয়ার সাথে সাথে পরিবারে যদি শিশু, গর্ভবতী নারী, বয়স্ক,  প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ ব্যক্তি থাকে তবে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হবে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে/নিরাপদ আশ্রয়স্থানে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে ও নিরাপত্তায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

* মহাবিপদ সংকেত (৩ পতাকা) পাওয়ামাত্র পরিবার-পরিজনসহ আশ্রয়কেন্দ্রে/নিরাপদ আশ্রয়স্থানে যেতে হবে।

* আশ্রয়কেন্দ্রে/নিরাপদ আশ্রয়স্থানে যাওয়ার সময় শুকনো খাবার, পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধপথ্য, টর্চ, রেডিও, দিয়াশলাই ইত্যাদি সাথে নিতে হবে।

* ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নারী ও কিশোরীদের প্রতি সব ধরনের হয়রানি, সহিংসতা, নির্যাতন, অপহরণ এবং পাচার প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। প্রয়োজনে ১০৯, ৯৯৯ ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে সহায়তা নেবো ও সুরক্ষার চেষ্টা করতে হবে।

* স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পারিবারিক প্রস্তুতি নিতে হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের পরে করণীয়

* পরিবারে নিখোঁজ ও আটকে পড়া সদস্যদের অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য সিপিপির প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দলকে তথ্য জানিয়ে সহায়তা করতে হবে।

* পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সঠিক তথ্য জানাতে হবে।

* পরিবারে যদি নারী বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ ব্যক্তি থাকে তবে তাদের বিশেষ চাহিদাগুলো পূরণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

* ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী ঘর-বাড়ি, টিউবওয়েল ও পায়খানা মেরামত ও পরিষ্কার করতে হবে।

* নিরাপদ পানি সংগ্রহ করতে না পারলে ধরে রাখা বৃষ্টির পানি পান করতে হবে অথবা জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ নিয়ে পানি ফুটিয়ে বা বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট অথবা ফিটকিরি ব্যবহার করে পান করতে হবে।

* গৃহস্থালি কাজে নারী-পুরুষ উভয়ে উভয়কে সহযোগিতা করতে হবে।

* মানবিক ও পুনর্বাসন সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

* প্রয়োজনে মনোসামাজিক সহায়তা ও চিকিৎসা নিতে হবে।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।