বাগেরহাট: দ্বিতীয় দফায় সুন্দরবনে আবারও নভেম্বর থেকে বাঘ গণনার কাজ শুরু হচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ক আঞ্চলিক সহযোগিতায় এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আগামী জুন পর্যন্ত চলবে এই গণনা।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেন্ট ও ন্যাচার কনজারভেশনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জাহিদুল কবির এ খবর জানান।
জাহিদুল কবির বলেন, এবার গণনায় সুন্দরবনে (বাংলাদেশ অংশে) অংশ নিচ্ছেন মোট ৩০ জন মাঠকর্মী। যারা বাঘ গণনার জন্য ব্যবহার করবেন ৮৯টি ক্যামেরা। এবারই প্রথম বাঘ গণনার জন্য পদচিহ্নের পরিবর্তে ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। দু’বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, এর আগে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপড বাঘ গণনার প্রথম ধাপ শেষ হয় গত এপ্রিলে। এসময় বাঘের চলাচল ও ছবি ধারণের জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ৮৯টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিলো। প্রতিটি ক্যামেরা টানা বিশ দিন ধরে প্রায় তিনশত বর্গ কিলোমিটার এলাকার ছবি ধারণ করতে সক্ষম।
গণনার ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ের গণনার ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। ছবি বিশ্লেষণের পর বাঘের প্রকৃত সংখ্যা হিসেব করা হবে।
এ বন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্লান’২০০৯-২০১৭, ন্যাশনাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রাম এবং বন আইন-২০১২ সংশোধনসহ বাঘ সংরক্ষণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
চলতি বাঘ গণনা শেষে হরিণ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীও গণনা করা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে, ২০০৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৪০টি বাঘ রয়েছে। ভারত অংশে রয়েছে ২১৭টি বাঘ। ইউএনডিপি পদচিহ্ন ব্যবহার করে এই গণনা করে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮২ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৫৩টি বাঘ ছিল। ১৯৮৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫০টি।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পরিচালিত এক জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ৩৬৯টি।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৪