ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

নতুন সংকটে শৈলকুপার শাম‍ুকখোল পাখি

আসিফ ইকবাল কাজল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৪
নতুন সংকটে শৈলকুপার শাম‍ুকখোল পাখি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঝিনাইদহ: আবাস সংকটের পাশাপাশি এবার নতুন সংকটে ঝিনাদহের শৈলকুপা উপজেলার আশুরহাট গ্রামের শামুকখোল পাখিরা। স্থানীয় নাম শামুকভাঙা বা শামখোলা।



গত ২৪ সেপ্টম্বর ‘আবাস সংকটে শামুকখোল পাখি’ শিরোনামে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশ করা হলেও প্রকৃতির বন্ধু এসব পাখি রক্ষায় নীরব ভূমিকাই পালন করে আসছে প্রশাসন- অভিযোগ স্থানীয়দের।

তাদের অভিযোগ, সরকারি কোনো পদক্ষেপ তো নেওয়াই হয়নি, বরং দূর-দ‍ূরান্ত থেকে লোকজন পাখি দেখতে আসায় গ্রামে মেলার আদলে বসেছে বাজার, খাবারের দোকান, সাইকেল স্ট্যান্ড। বিভিন্ন কারণে প্রায়ই দর্শনার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে চলেছে।

ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় সরেজমিনে গিয়ে। আলাপ হয় এলাকাবাসীর সঙ্গে।

আশুরহাট গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, সংবাদ মাধ্যমে শামুকখোল পাখি নিয়ে খবর প্রকাশের পরই মানুষের ঢল নেমেছে এলাকায়। শুক্রবার ও শনিবার পাখি দেখতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ভিড় জমায় আশুরহাট গ্রামে। এ অবস্থা সামাল দিতে জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গ্রামবাসী কাজ করে যাচ্ছে।

ঝিনাইদহ সরকারি কেশবচন্দ্র কলেজের ছাত্র তানভীর আক্তার তনয়। বন্ধুদের নিয়ে আশুরহাট গ্রামে পাখি দেখতে এসেছেন তিনি। তনয় জানান, গণমাধ্যমে খবরটি জান‍ার পরে বন্ধুরা ঠিক করি পাখি দেখতে আসবো। একসঙ্গে এত পাখি আমরা কখনও দেখিনি।

শৈলকুপার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দীন বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, শামখোল পাখি শুধু গ্রামের নয়, সারাদেশের সম্পদ। এই পাখি রক্ষায় প্রশাসনের পাশাপাশি গ্রামবাসীও কাজ করে যাচ্ছে। বেশ কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরে আশুরহাট গ্রাম থেকে মেলা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাখিগুলোর বসবাস ও প্রজননে যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সে কারণে দর্শনাথীদের নিঃশব্দে পাখি দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়া গেলেও দেশের এত বড় সম্পদ রক্ষায় ঝিনাইদহ জেলা বন বিভাগের নীরব ভূমিকা খুবই দুঃখজনক।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, শামুকখোল পাখির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
কিন্তু উপর মহল থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায় নি।

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পাখিদের আবাসস্থল যেন নষ্ট না হয় সে জন্য গাছের মালিকদের গাছ না কাটাতে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে গাছের মূল্য দিয়ে দেওয়া হবে এমন ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।