ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

আঠারোবেঁকি-মধুমতি চ্যানেল খনন ও চালুর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫
আঠারোবেঁকি-মধুমতি চ্যানেল খনন ও চালুর দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের সঙ্গে আঠারোবেঁকি-মধুমতী চ্যানেল খনন ও চালুসহ ৬ দফা দাবিতে খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর কনসেন্স মিলনায়তনে জনউদ্যোগ, খুলনার আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জনউদ্যোগ খুলনার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই-খুদা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি জানান, সুন্দরবনের জন্য একটি আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন, সুনির্দিষ্টভাবে ‘সুন্দরবন সুরক্ষায় বিশেষ আইন’ পাস, জরুরি বিবেচনায় মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটির কাজ মেয়াদের আগেই শেষ কর‍া, সি এস ম্যাপ অনুযায়ী মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটির সঠিক সীমানা চিহ্নিত করে পূর্ণাঙ্গ খনন কাজ পরিচালনা, আঠারোবেঁকি-মধুমতী চ্যানেলটি চালু ও খনন এবং সুন্দরবন অঞ্চলে যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের সাথে সংযুক্ত ২৮টি খালের মুখ খুলে দিতে হবে। খালের মুখ থেকে উচ্ছেদ করতে হবে অবৈধ দখলদারদের।

মংলা বন্দর ও তৎসংলগ্ন সুন্দরবন এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্বিক যোগাযোগের কথা বিবেচনা করে মংলা বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ বন্দরের স্বার্থের সঙ্গে সুন্দরবনের স্বার্থটিও বিবেচনা করতে হবে।

যেহেতু পরিবেশবিজ্ঞানী মতে, এ ধরনের বনের মধ্য দিয়ে নৌপথ থাকা ঠিক নয়। তাই অতিদ্রুত মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খনন করে নৌপথ চালু করার দাবি জানানো হলো।

মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি প্রকৃতিগতভাবে টিকে থাকার উপযোগী নয় উল্লেখ করে তিনি ওই চ্যানেলটি টিকিয়ে রাখতে সার্বক্ষণিক খনন কাজ চালানোর আহ্বান ও পুরনো নৌপথ আঠারোবেঁকি-মধুমতী চালু করার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই শ্যালা নৌপথটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। নানা মহল থেকে দাবি উঠেছিল, সুন্দরবন রক্ষার স্বার্থে, এই নৌপথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়ার। এমনকি জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ দলও বনের মধ্যে নৌপথ না রাখার পক্ষেই মত দিয়েছে।

এরপরও তাৎক্ষণিক বিবেচনায় সরকার দিনের বেলায় এ পথ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট তসলিমা খাতুন ছন্দা, কনসেন্স’র নির্বাহী পরিচালক সেলিম বুলবুল, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, উন্নয়নকর্মী আলহাজ মহিউদ্দিন আহমেদ, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প দোকান মালিক সমিতির মহাসচিব এসএম সোহরাব হোসেন, সংগঠনের সদস্য সচিব মহেন্দ্র নাথ সেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।