ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

৩০০ দাঁতের প্রাগৈতিহাসিক ভয়ঙ্কর হাঙর (ভিডিও)

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫
৩০০ দাঁতের প্রাগৈতিহাসিক ভয়ঙ্কর হাঙর (ভিডিও) ছবি : সংগৃহীত

আচ্ছা ধরুন আপনি গেলেন মাছ ধরতে। কিন্তু জালে উঠে এলো এক হাঙর।

তাও আবার এমন হাঙর যাকে দেখা তো দূরে থাক, নামই শোনেননি কোনোদিন। যদি বলি এমন একটি ঘটনা সত্যিই ঘটেছে তবে কি অবাক হবেন!


হ্যাঁ, অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব ভিক্টোরিয়ার পর্যটন কেন্দ্র ও মাছ ধরার বন্দর লেক এন্ট্রান্সের জেলেরা রীতিমতো আঁৎকে উঠেছিল সহসা প্রাগৈতিহাসিককালের ভয়ঙ্কর এক হাঙর উঠে আসায়।


গাঢ় বাদামি সাপের মতো এই হাঙরের নাম ফ্রিলড হাঙর। এদের গলার অংশে ঝালরের মতো আবরণ রয়েছে। তাই তার নাম ফ্রিলড হাঙর। অনেকটা মাছের ফুলকার মতো ছয়জোড়া ঝালর পাখার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। দেখতে অনেকটা হিংস্র শিকারি মাছের মতো।


ধারণা করা হচ্ছে, আশি মিলিয়ন বছর আগের দুটি প্রাণীর মধ্যে ফ্রিলড হাঙর একটি, যে এখনো জীবন্ত। তাই একে জ্যান্ত ফসিল বলা হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব ট্রল ফিশিং অ্যাসোসিয়েশনের ( এসইটিএফএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবিসি সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, হাঙরটির গঠন দেখে বলা যায় এটি আশি মিলিয়ন বছর আগের প্রাগৈতিহাসিক একটি প্রাণি। দেখে বোঝা যায় যে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন এক সময়ে পৃথিবীতে এসেছে। যারা হাঙরটিকে পেয়েছে তারা নিজেরাই হতভম্ব হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এই হাঙরের দাঁতের সারি ২৫টি ও দাঁতের সংখ্যা তিনশটি। তার মানে সে যদি কাউকে গ্রাস করে তাহলে তার আর ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

হাঙরটি সমুদ্রের ৭০০ মিটার গভীর থেকে ধরা হয়েছে। লম্বায় হাঙরটি প্রায় দুই মিটার। অন্যদিকে সেটফা ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সাধারণত সমুদ্রের ১৫০০ মিটার গভীরে এধরনের প্রাণীর দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু ১২০০ মিটারের নিচেপাওয়াটা অস্বাভাবিক।

হাঙরটির শরীরে রয়েছে পৃষ্ঠাংশ, তলপেট ও শেষাংশে মলদ্বার। তার চোয়াল অনেক বড়। বিশাল হা করে সহজেই শিকারকে গ্রাস করে সে।



বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।