ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ব্যাঙ যখন ছদ্মবেশী

পরিবশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৫
ব্যাঙ যখন ছদ্মবেশী

ঢাকা: ইকুয়েডরের গভীর রেইন ফরেস্টে নানা প্রজাতির প্রাণীর দেখা মেলে। যেগুলোর অনেকটাই এখনও আমাদের অপরিচিত।

এমনই এক নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান দিয়েছেন ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ক্যাথরিন ক্রেনাক।

এক রাতে ইকুয়েডরের গভীর রেইন ফরেস্টে হাঁটার সময় ক্যাথরিন এক ছদ্মবেশী প্রাণীর সন্ধান পান। মার্বেল আক‍ারের উভচরটির কেবল মেরুদণ্ড ও হাড় দেখা যাচ্ছিলো। এটি নতুন প্রজাতির কোনো প্রাণী হতে পারে এমন ভেবে ক্যাথরিন এটি ঘরের ভেতরে ‍নিয়ে আসেন। এরপর তার মনে হয় কোথাও ভুল হয়েছে। এটা একটা রুগ্ন ব্যাঙ!

ব্যাঙটিকে আবার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার সময় একটি ছোট গাছের ওপর রাখতেই এটি তার নিজের রূপে ফিরে আসে। বিষয়টি সত্যিই অবাক করা।
মেরুদণ্ডী প্রাণী তাদের আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে না!

এর ছদ্মবেশ ধারণের দক্ষতা দেখে ক্যাথরিন এর নামে রাখেন ‘পাঙ্ক রোকার’ ব্যাঙ।

এটি যে সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির ব্যাঙ তা প্রমাণ কর‍ার মতো পর্যাপ্ত তথ্য হাতে পেতে ক্যাথরিন ও তার দলের সময় লাগে ৯ বছর।

সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তারা দাবি করেন, এটিই প্রথম মেরুদণ্ডী উভচর যারা তাদের দেহের আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে।
দ্বিতীয় ব্যাঙটিও প্রথমটির মতোই কঙ্কালসার তবে, ভালোভাবে তাকাতেই এটি দ্বিতীয় বারের মতো আকৃতি পরিবর্তন করে ফেলে। এরপর গবেষক দল কয়েক মিনিট ধরে প্রতি ১০ সেকেন্ড পরপর এই ছদ্মবেশী ব্যাঙের ক্রমাগত আকৃতি পরিবর্তনের ছবি তোলে।

তাদের কাছে বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট, কীভাবে ব্যাঙটি এত দ্রুত দেহের আকৃতি পরিবর্তন করে! তাদের শরীর গঠনে বিশেষ কি ব্যাপার রয়েছে!
গবেষকদের মতে, সোবটেস রোবার ফ্রগ (Pristimantis sobetes)-এর সঙ্গে এদের মিল রয়েছে। মূলত শিকারি প্রাণীর হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এবং নিজেদের অবস্থান গোপন রেখে শিকার করতেই তারা এমন ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।