ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঝড়ে কুষ্টিয়ায় কয়েক হাজার পাখির মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৫
ঝড়ে কুষ্টিয়ায় কয়েক হাজার পাখির মৃত্যু ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় কালবৈশাখী ঝড় আর শিলা বৃষ্টিতে কয়েক হাজার পাখির মৃত্যু হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে রোববার রাতে এত সংখ্যক পাখি মারা যাওয়ায় বিলুপ্ত হয়েছে কুমারখালী উপজেলার ধলনগর গ্রামের ছাগলাপাড়া পাখির অভয় আশ্রমটি।



এলাকাবাসীর সহায়তায় স্থানীয় একটি সংগঠন মৃত পাখিগুলো মাটি চাপা দিয়েছে। আর এখন পর্যন্ত এসব বেঁচে যাওয়া পাখি রক্ষার্থে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

একদিকে কালবৈশাখী ঝড়, অন্যদিকে ভারী শিলা বৃষ্টি। প্রকৃতির এমন তাণ্ডবে, লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে কুষ্টিয়ার ধলনগর গ্রামের অভয় আশ্রমটি। শত শত পাখির মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বাগানের সর্বত্র। যে ক’টা পাখি বেঁচে আছে, সেগুলোও গুরুতর আহত। আহত পাখিগুলো সংরক্ষণ করছে স্থানীয় স্যোসাল ডিপোলপমেন্ট কাউন্সিল নামে একটি সংগঠন।

স্থানীয়রা বলছে কুমারখালী উপজেলার ধলনগর গ্রামের ছাগলাপাড়া পাখির অভয় আশ্রমটিতে ১০ প্রজাতির পাখির বসবাস ছিল। ঝড় আর ভারী শিলার আঘাতে বেশিরভাগ দেশী পাখি মারা গেছে।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব নির্বাহী সদস্য এস আই সোহেল বাংলানিউজকে জানান, এই পাখির অভয় আশ্রমটিতে ১০ হাজার পাখির বসবাস ছিল। পাখির মৃত্যুতে পরিবেশের অকল্পনীয় ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে দেশ থেকে বিলুপ্তপ্রায় পাখি রয়েছে। ঝড়ে যে পাখিগুলো মারা গেছে বেশিরভাগই ভাতশালিক, গো-শালিক এবং ঝুটিশালিক। আরও যে পাখিগুলো আছে, সেগুলো বাংলাদেশে সব সময় পাওয়া যায় না। কিছু কিছু সময় এরা আসে। এই পাখির সংখ্যাও বিপুল সংখ্যক।

গ্রামবাসী জানান, এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই পাখির অভয় আশ্রমটি আগলে রাখতো। তারা খেয়াল রাখতো কোনো পাখি শিকারী যেন পাখিদের আবাসস্থল নষ্ট না করতে না পারে। তারা জানান, উপযুক্ত আবাসস্থল আর নিরাপত্তা পেয়ে গড়ে উঠেছিল এই পাখি আশ্রম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৫
পিসি     
                               
                                   
                                   
                                   
                                   
                                   
                               

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।