শ্রীমঙ্গল: পাখি পর্যবেক্ষক, আলোকচিত্রী ও সাতছড়ি অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা মুনির আহমেদ খান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি......রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
শনিবার জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় তাঁকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। তিনি ছিলেন পাখি আলোকচিত্রী ও গবেষক তানিয়া খানের স্বামী। বৈবাহিক জীবনে তিনি চার সন্তানের জনক। বনের পথে পথে ঘুরে বেড়িয়ে তার ক্যামেরায় তোলা দুর্লভ ছবিগুলো আজ শুধুই স্মৃতি।
তার স্ত্রী তানিয়া খান বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের অক্টোবরে হবিগঞ্জ থেকে মৌলভীবাজার আসার পথে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় তিনি সাময়িকভাবে পঙ্গু হয়ে যান। গত সপ্তাহে দ্বিতীয় বার স্ট্রোক করার ফলে শারীরিকভাবে ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েন। আমরা তার স্ট্রোকের কথা প্রথমে জানতে পারিনি। অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পরে ডাক্তার বলেছেন।
তিনি অনেক বছর যাবত বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পাখির স্পট অনুসন্ধান করেছেন। তার মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পর সামাজিক মাধ্যমে পাখি গবেষক, পাখি পর্যবেক্ষক ও পাখি আলোচিত্রীরা তার ছবি আপলোড করে আবেগতাড়িত স্মৃতিচারণ করতে থাকেন।
আইইউসিএন-এর কর্মরত সহযোগী প্রকল্প গবেষক আল মারুফ রাসেল লিখেছেন, একজন অসম্ভব ভালো মানুষকে চিনতাম। দেখা হয়েছে মাত্র একবার জাহাঙ্গীরনগরে। প্রথম বিগ বার্ড অ্যাওয়ার্ডের সময়। জঙ্গলের পশুপাখিরা একজন অভিভাবক হারালো। বনবিভাগে কর্মরত হাতে গোনা গুটিকয় ভালো মানুষের মধ্যে সবচাইতে ভালো মানুষটা হারিয়ে গেলেন।
মুনির আহমেদ খান প্রসঙ্গে বন্দরবন পালকউড প্লান্টেশন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোল্লা রেজাউল করিম বলেন, পাখির প্রতি তার ভালোবাসা, বন্যপ্রাণির প্রতি তাঁর মমত্ববোধ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রতি তার দায়বদ্ধতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের বনবিভাগের অনেকের মধ্যেই এই গুণাবলিগুলো সংমিশ্রণ নেই বললেই চলে। আমি তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
তার তোলা কয়েকটি ছবি নিচে দেওয়া হলো:
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৫
এএ