ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বাঁদরের নাম শার্লো, ব্রিটিশ মিডিয়ায় হইচই

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৫
বাঁদরের নাম শার্লো, ব্রিটিশ মিডিয়ায় হইচই

ঢাকা: সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজত্ব আলোকিত করে প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের ঘরে জন্ম নেয় এক রাজকন্যা। জন্মের দু’দিন পর ৪ মে রাজপ্রাসাদ কেনসিংটন প্যালেসে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম রাখা হয় শার্লো এলিজাবেথ ডায়ানা।

রাজকন্যার আগমনে ব্রিটিশ ও তাদের মিত্রদের আনন্দ-উৎসবের মধ্যেই বিতর্কিত এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলো জাপানি এক চিড়িয়াখানা। সেখানে জন্ম নেওয়া এক বাঁদরের নামও তারা রেখেছে শার্লো! এ নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যমসহ পশ্চিমা বিশ্বে হইচই পড়ে গেছে। রাজপরিবারসহ ব্রিটিশদের কাছে যেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চায়- সেজন্য চারদিক থেকে চাপ আসছে।

হইচই পড়ে যাওয়া এ ঘটনার বিবরণে জানা যাচ্ছে, বরাবরের মতো সম্প্রতি একটি বাঁদর জন্মানোর পর কী নাম রাখা হবে এ বিষয়ে ভোট চায় জাপানের মাউন্ট তাকাসাকি উইল্ড পার্ক। ভোটের জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে জন্ম নেওয়া বাঁদরটির নাম রাখা হয় শার্লো। ৪ মে ব্রিটিশ রাজকন্যার নাম ঘোষণার পর শার্লো নামটির ওপর অনেক বেশি ভোট পড়লেও তার আগ পর্যন্ত এ নামে একটি ভোটও জমা পড়েনি! কপটদের এই চতুরতার ফাঁদে পা দিয়েই চিড়িয়াখানাটি ব্রিটিশ রাজকন্যার নামে নাম রাখে বাঁদরের।

বাঁদরের এই নাম ঘোষণার পর অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হতে থাকে মাউন্ট তাকাসাকি উইল্ড পার্ক। বলা হতে থাকে, বাঁদরের এই নাম ব্রিটিশ রাজপরিবারের জন্য অসম্মানজনক।

তবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই নামটি জনগণের দেওয়া। ব্রিটিশ রাজকন্যার নাম ঘোষণার পর মোট ৮৫৩টি ভোটের মধ্যে ৫৯টি ভোট আসে শার্লো নামে। তবে রাজকন্যার নাম ঘোষণার আগ পর্যন্ত এই নামে একটি ভোটও আসেনি। ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে আমরা নাম ঘোষণা করার পরে একের পর এক অভিযোগ পেতে শুরু করি।

মাউন্ট তাকাসাকির এই আচরণে আক্রোশের প্রকাশ ঘটিয়ে কিছু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, যদি জাপানের রাজপরিবারের কোনো উত্তরসূরীর নামে ব্রিটিশ বাঁদরের নাম রাখা হতো, তবে তাদের অনুভূতি কেমন হতো?

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এ ধরনের খবরে আনুষ্ঠানিকভাবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, তারা ওই বাঁদর শাবকের নাম নিয়ে নতুন করে ভাবছে।

শনিবার (২ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে (আন্তর্জাতিক সময় সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে) জন্ম নেন ব্রিটিশ রাজদম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। তবে তার জন্মের ঘোষণা আসে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় (আন্তর্জাতিক সময় সকাল ১০টায়)। এরপর প্রায় ১২ ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থান করে নবাগত সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন ডিউক অব ক্যামব্রিজ উইলিয়াম ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজ কেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৫
এটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।