ঢাকা: বাসা বাঁধে এমন প্রাণীর সংখ্যা বিশ্বে কম নয়। এদের মধ্যে নান্দনিক বাসা বাঁধায় পাখি কখনও কখনও মানুষকেও হার মানিয়ে দেয়।
পাখির বাসা কেন ভিন্ন ধরনের হয়- এ নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই গবেষণা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পাখি মূলত বাসা বাঁধে শিকারি প্রাণীর হাত থেকে সন্তানদের, কখনও কখনও নিজেদেরও রক্ষা করতে।
এ ভাবনা থেকেই বাসার অবস্থান, অর্থাৎ মাটি থেকে ঠিক কতটা উপরে, কেমন পরিবেশে, বাসা তৈরিতে কি ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হবে এবং আকৃতি কেমন হবে এসব নির্ধারণ করে পাখি যুগল।
স্কটল্যান্ডের দ্য ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট এন্ড্রোস-এর গবেষক জ্যাক্যারি হল, শেলী অটি এবং সুসান হেলী বলেন, এ পর্যন্ত আমরা খুব সামান্য জানতে পেরেছি। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বাসার ধরন নির্ধারণে শিকারি প্রাণীর চিন্তাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
‘কেন পাখির বাসার ধরন আলাদা হয়’ এ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে হল ‘নিউরো-বায়োলজি অব নেস্ট-বিল্ডিং বিহ্যাভিয়র’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটা খুবই অশ্চর্যজনক! কারণ পাখির প্রজাতি ভেদে ও অঞ্চল ভেদে বাসার ধরন বদলে যায়। প্রায় ১৫৫টি প্রজাতির পাখির বাসা পর্যবেক্ষণ করা হয় এ গবেষণায়।
এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, যেসব পাখিরা মাটির কাছাকাছি বসবাস করে, এলাকা পরিবর্তন করলে তারা বাসার অবস্থানও পাল্টে ফেলে। কখনও কখনও গাছের মগডালেও বাসা বাঁধে। মূলত শিকারি প্রাণীর হাত থেকে রক্ষা পেতেই এমনটা করে থাকে তারা। এই চিন্তা থেকে বাসা তৈরি উপকরণও তারা বদলে ফেলে।
হল আরও বলেন, এই কাজটি করে আমরা খুবই আনন্দিত। তবে আমাদের গবেষণা এখনও আইসবার্গ অবস্থায় রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ধারাবাহিকভাবে আরও জানা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৫
এটি/এএ