ঢাকা: কেবল তোতাপাখি ভাবলে শুরুতেই ভুল হবে! নাম কুইটো হলেও বলতে হবে ‘শিল্পী কুইটো’। কারণ সে গান গাইতে ভালোবাসে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিস চিড়িয়াখানায় গান শুনিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করার পরে ১৮ বছর বয়সী হলুদ রঙের দুই ঝুঁটির এই অ্যামাজন তোতাপাখি যেন সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় গান শোনাতে পুরো দেশ ঘুরেছে কুইটো।
বলা হয়, কুইটো এক বিশেষ ধরনের পাখি। অনেকে মজা করে আরও বলেন, পাখি হলেও মূলত এর মস্তিষ্ক হলো মানুষের! কেবল গান গাইতেই নয়, দর্শক-শ্রোতা মাতাতেও এর তুলনা হয় না। গান শেষে কুইটো শ্রোতাদের উদ্দেশে চুমু ছুড়ে দেয়।
প্রশিক্ষক গাইতে বললেই এক শৈল্পিক ঢঙে গান শুরু করে কুইটো। গান গাইতে পারলেও তালে কিছুটা সমস্যা ছিলো পাখিটির। দীর্ঘ দিনের প্রশিক্ষণ শেষে তালের ওপর কুইটোর দখলও এখন ভীষণ রকম।
আরও মজার বিষয় হলো, মঞ্চে ওঠার পরে দর্শক-শ্রোতাদের মনোযোগের অভাব দেখলে খুবই অসন্তুষ্ট হয় কুইটো!
অন্যান্য স্টারদের মতো ক্যারিয়ার শুরু হওয়ার আগে কুইটো একটি বাসায় থাকতো। তবে তার মালিক তখনও বুঝতে পারেননি এটি একটি বিশেষ পাখি, ফলে তার আলাদা যত্ন দরকার।
ন্যাচারাল এনকাউন্টার ইনক-এর দল কথা শেখাতে গিয়ে দেখে তোতা পাখিটি আগে থেকেই অনেক শব্দ ও বাগধারা জানে। তখন তাকে শিশুদের গান ‘ওল্ড ম্যাকডোনাল্ড হ্যাড এ ফার্ম’ শেখানো হয়।
শুরুর দিকে অপরিচিত ব্যক্তির কাছে গান শিখতে ঘোর আপত্তি ছিলো কুইটোর। তবে তার পছন্দের বাদাম ও সূর্যমুখী ফুলের বিজ খেতে দেওয়ায় সে আপত্তি দ্রুতই ঘুঁচে যায়! পরবর্তীতে অবস্থা এমন দাঁড়ায়, প্রশিক্ষক ‘লেটস সিং’ বললেই গাইতে শুরু করে কুইটো।
কুইটোকে একটি গান শেখাতে সময় লাগে প্রায় তিন বছর। প্রতিটি তোতাপাখির গান শেখার ক্ষমতা থাকলেও ইচ্ছাটা সবার থাকে না যোগ করেন ন্যাচারাল এনকাউন্টার ইনক-এর দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫
এটি/এএ