ঢাকা: মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারাদেশে প্রবল বৃষ্টিপাত মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এই টানা বৃষ্টিপাত কমতে আরও ক’দিন সময় লাগবে।
তবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সপ্তাহের মাঝামাঝিতে কিছুটা কমলেও বৃহস্পতিবার নাগাদ ফের শুরু হতে পারে টানা বর্ষণ। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার প্রতিদিনই রাজধানীতে ৫০ মিলিমিটার করে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুরে।
এছাড়াও ঢাকাতে ১২ মি.মি, টেকনাফে ২৭ মি.মি, টাঙ্গাইলে ৭ মি.মি, ফরিদপুরে ২ মি.মি, মাদারীপুরে ২ মি.মি, খুলনাতে ২ মি.মি, পটুয়াখালীতে ২ মি.মি, কুমিল্লায় ৩ মি.মি, কক্সবাজারে ১৩ মি.মি, চট্টগ্রামে ১৬ মি.মি, সন্দ্বীপে ১৬ মি.মি, সীতাকুন্ডে ১৬ মি.মি, ফেনীতে ৬ মি.মি, হাতিয়ায় ১৭ মি.মি, বরিশালে ৮ মি.মি, ভোলাতে ৫ মি.মি, সাতক্ষীরায় ৩ মি.মি, যশোরে ১ মি.মি, রাজশাহীতে ১ মি.মি, চুয়াডাঙ্গায় ১ মি.মি, ঈশ্বরদীতে ১ মি.মি, বগুড়াতে ৩ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান খান বাংলানিউজকে জানান, বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ায় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
অতি প্রবল মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের প্রভাবে উত্তর উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত রয়েছে।
এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৫
এটি/জেডএম