ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

জলবায়ু ও পরিবেশ

অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইডের কারণে অক্সিজেন হারাচ্ছে সমুদ্র!

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:২০, জুলাই ৪, ২০১৫
অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইডের কারণে অক্সিজেন হারাচ্ছে সমুদ্র!

ঢাকা: অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের কারণে সমুদ্র অক্সিজেন হারিয়ে ফেলছে। এতে সমুদ্রের পানি বিষাক্ত হয়ে ওঠায় জীববৈচিত্র্যের চূড়ান্ত ক্ষতির পাশাপাশি হুমকিতে রয়েছে মানব সভ্যতাও।

সম্প্রতি গবেষণা শেষে এমন তথ্যই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্বনের কারণে সাগরের তাপ বাড়ছে, ফলে পানিতে অক্সিজেন ধরে রাখতে পারছে না সমুদ্র। একটি জার্নালে প্রকাশিত বিশ্বের খ্যাতনামা ২২জন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা তাদের সমন্বিত প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছেন।

তাদের মতে, সাগর এখন ভয়ঙ্কর ঝুঁকিতে রয়েছে। এটা পরিষ্কার জীবাশ্ম তেলের কারণে সাগরের পরিবর্তন অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। ১৭৫০ সাল থেকে আমাদের নিঃসরণ করা ৩০ শতাংশ কার্বন সাগর শোষণ করে আসছে। ফলে দিনে দিনে বিষাক্ত হয়ে উঠছে সমুদ্র।

জলবায়ু পরিবর্তনের আরেকটি বড় কারণ, একই সময় থেকে শিল্প কারখানাগুলোর তৈরি করা ৯০ শতাংশ অতিরিক্ত তাপ। কেননা এই তাপের কারণে সাগরে অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দিচ্ছে।

সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ভবিষ্যতে কার্বনের কারণে অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং অক্সিজেন ঘাটতিতে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দেন জিন পেরি গাটসো। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করছি তাতে শিগগিরই পৃথিবী চক্র বদলে যাবে।

গবেষণা সহযোগী প্লাইমথ মেরিন ল্যাবরেটরির গবেষক ক্যারোল তুর্কি বলেন, আমাদের নিঃসরণ করা কার্বনের ফলে সাগরের চরিত্র বদলে যাচ্ছে। সাগর আমাদের খাদ্য, শক্তি, খনিজ, পরিবেশের মোট অক্সিজেনের অর্ধেকটা সরবরাহের পাশাপাশি আবহাওয়া এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে।

কার্বন নিঃসরণ কমাতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে উপকূল, মৎস্য, পর্যটন শিল্প ও নাগরিক স্বাস্থ্য সবই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উন্নয়নশীল অঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনে এসব অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অতীতে পরিবেশ বিষয়ক যত চুক্তি হয়েছে সেখানে সাগর খুব কমই গুরুত্ব পেয়েছে। বিশ্বের সব রাজনীতিকরা একত্রিত হয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৫
এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।