ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বঙ্গোপসাগরে ডেডজোনের খোঁজে গবেষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৫
বঙ্গোপসাগরে ডেডজোনের খোঁজে গবেষণা

ঢাকা: বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীগুলো বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিলিত হয়েছে। এই নদীগুলো কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত নাইট্রোজেন সার প্রতিনিয়ত বঙ্গোপসাগরে নিয়ে যাচ্ছে, যা সেখানে অক্সিজেন শূন্য এলাকা ‘ডেডজোন’-এর সৃষ্টি করছে।



এই ডেডজোন  পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। সে কারণে বঙ্গোপসাগরে ডেডজোনের খোঁজে গবেষণা চালানো হবে।

ভারতের গোয়াভিত্তিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওসেনোগ্রাফি (এনআইও) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালাবে। এ জন্য বাংলাদেশ দিয়ে প্রবাহিত নদীর পানি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

এ গবেষণা চালাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এনআইও’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

 এ বিষয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওসেনোগ্রাফি (এনআইও)-এর পরিচালক ড.এসডব্লিউএ নাকভী ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ধারণা করছি, বঙ্গোপসাগরের দেড়শ থেকে ছয়শ মিটারের মধ্যে খুব কম অক্সিজেনের স্তর আছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক ও নদীমাতৃক দেশ। এতে করে কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত নাইটোজেন নদীর পানির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে চলে যায়। এই নাইট্রোজেন বঙ্গোপসাগরে মিশে অক্সিজেনের ঘাটতি ঘটাচ্ছে। ক্রমাগত হারে নাইট্রোজেন সার ব্যবহারের ফলে বঙ্গোপসাগরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এ ঘটনা পরিবেশ তথা প্রতিবেশের ওপর প্রভাব ফেলছে। সে কারণে আমরা সাগরে নাইট্রোজেনের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাই।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের নদীগুলো কী পরিমাণ নাইট্রোজেন বহন করে বঙ্গোপসাগরে নিয়ে যাচ্ছে, তা আমরা পরীক্ষা করে দেখতে চাই। আমরা নাইট্রোজেন চক্র বুঝতে নদী ও সাগরের পানি পরীক্ষা করে দেখবো।

নাইট্রোজেনের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে ড.এসডব্লিউএ নাকভী বলেন, নদীর পানিতে নাইট্রোজেন প্রবাহিত হওয়ার সময় শৈবাল উৎপন্ন হয়। নাইট্রোজেন শৈবাল জন্মাতে সহায়তা করে। এর মধ্যে আবার ক্ষতিকর শৈবালও উৎপন্ন হয়। এরপর শৈবাল যখন মারা যায়, তখন এগুলো আবার অক্সিজেনের ঘাটতি ঘটায়।

এনআইও পরিচালক বলেন, সমুদ্র উপকূলবর্তী ৪০০টি স্থানের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানকার পানি তার অক্সিজেন হারিয়ে ফেলেছে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শস্য উৎপন্নের জন্য অনেক বেশি সার ব্যবহৃত হয়। এই সারের বেশির ভাগই ভূগর্ভে ও পানির মাধ্যমে নদীতে চলে যায়।

যদি আমরা পরিবেশগত ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি, তাহলে এটি একটি জরুরি বিষয়। খাবার পানিতে উচ্চ মাত্রার নাইট্রেট গ্রহণীয় নয়। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং ব্লু বেবি সিনড্রোমের অন্যতম একটি কারণ বটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৫
এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।