ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের শ্লথগতি, কমিটির অসন্তোষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৫
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের শ্লথগতি, কমিটির অসন্তোষ

ঢাকা: পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি নিয়ে কমিটিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। গতবারের চাইতে এবার মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড অনেক কমে এসেছে বলে কমিটিতে এক সদস্য বিষয়টি উত্থাপন করেন মন্ত্রীর কাছে।



পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সেই সদস্যকে জানিয়েছেন, আগের টার্মে বিদেশি ফান্ডের টাকা নিয়ে কিছু অনিয়ম হয়েছিল, যে কারণে বিদেশিরা আর এই মন্ত্রণালয়ে অর্থ দিতে বিশ্বাস পায় না। এজন্য অনেক কাজই বন্ধ হয়ে গেছে।
 
বৈঠক শেষে কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বাজেটে আগের বছরের চাইতে এবার এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দও কমেছে। কাজের গতিও অনেক শ্লথ হয়েছে। তাই বিষয়টি মন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করি।
 
২০০৯ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নবম সংসদের ৫ বছর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। তার আমলে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন ফান্ডে দাতা সংস্থাগুলো টাকা দিয়েছিল বাংলাদেশকে। দশম জাতীয় সংসদ গঠনের পর সেই ফান্ডের অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় দাতা সংস্থাগুলো। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের শ্লথ গতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সেসময় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় দাতা সংস্থাগুলো।
 
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই’২০১৫) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ১৫তম বৈঠকে একজন সদস্য বিষয়টি উত্থাপন করেন মন্ত্রীর কাছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ।
 
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মোহা. গোলাম রাব্বানী।
 
বৈঠকে চট্টগ্রামে বোয়ালখালি উপজেলায় রেলসেতু ভেঙ্গে তেলবাহী ট্রেনের খালে পড়ার ঘটনার ঘটনায় নদী দূষণ এবং পরিবেশের উপর এর প্রভাব ও করণীয় সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। একই স্থানে বারবার রেলসেতু ভেঙ্গে পরিবেশ বিপর্যয়ের ক্ষতি থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণের ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলকে পত্র পাঠানোর সুপারিশ করা হয়।
 
বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাবার শিল্পকে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করার মত উপযোগী করে তোলার তাগিদ দেয় কমিটি। এজন্য রাবার শিল্পে আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য এই শিল্পের উপর থেকে সকল প্রকার ট্যাক্স/ভ্যাট প্রত্যাহার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে কমিটির পক্ষ থেকে পত্র পাঠানোরও সুপারিশ করা হয়।
 
এদিকে ইটভাটা স্থাপনে ছাড়পত্র প্রাপ্তি সহজ করার উপর জোর দিয়েছে কমিটি। দেশের ক্রমবর্ধমান ইটের চাহিদা পূরণকল্পে ইটভাটা স্থাপনে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রাপ্তি সহজ করার জন্য বিদ্যমান ইট ভাটা আইনটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয় কমিটি।

বৈঠকে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৫
এসএম/এনএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।