ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

সবুজের বুক চিরে স্বচ্ছ ঝরনা

অপু দত্ত, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৫
সবুজের বুক চিরে স্বচ্ছ ঝরনা

খাগড়াছড়ি: সবুজ-শ্যামল উঁচু-নিচু পাহাড়ের জেলা খাগড়াছড়ি। এ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে ছুটে আসে পর্যটক।

সৌন্দর্যের অন্যতম স্থান দখল করে আছে জেলার বেশ কিছু প্রাকৃতিক ঝরনা। স্বচ্ছ-সুশীতল এ ঝরনার পানি স্পর্শ না করলে খাগড়াছড়ি আসাই যেন বৃথা।  

রিছাং ঝরনা: খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের আলুটিলার পাদদেশে এ ঝরনা অবস্থিত। খাগড়াছড়ি শহর থকে যেতে হলে ১৫ মিনিট গাড়িতে করে আলুটিলা এলাকায় যেতে হবে। চট্টগ্রাম থেকেও এ স্থানে আসা যাবে বিভিন্ন যানবাহনে। তারপর ইটের রাস্তা ধরে ১৫/২০ মিনিট হাঁটলে ৩০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এ ঝরনার পাদদেশে পৌঁছানো যাবে।

এ ঝরনা থেকে সামান্য কিছু দূরে দেখা মিলবে আরো একটি ঝরনার। পাহাড় আর সবুজের বুক চিড়ে শীতল পানি অনবরত নেমে চলছে এ দুটি ঝরনায়।

তৈদুছড়া ঝরনা: খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও দীঘিনালা উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম সীমানাপাড়া গ্রামে অবস্থিত তৈদুছড়া ঝরনা। আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হবে এ ঝরনায়। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়রা এ সময় দেখে নিতে পারেন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর জীবনধারা।

পথের শেষ দিকে দেখা মিলবে বড়বড় পাথরের সারি। এরপরই তৈদুছড়া ঝরনা। এ ঝরনার পানির প্রবাহের পথে গেলে দেখা মিলবে আরো একটি ঝরনা।

হাজাছড়া ঝরনা: এটি রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কাছাকাছি। মূল সড়ক থেকে ছরা আর মেঠো পথ দিয়ে ঝরনায় যেতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগবে।

যাতায়াত ব্যবস্থা: ঢাকা থেকে প্রথমে খাগড়াছড়ি আসতে হবে। ঢাকার সায়াদাবাদ, কমলাপুর, ফকিরাপুল, গাবতলী, কলাবাগান, টিটি পাড়া থেকে টিকেট সংগ্রহ করে খাগড়াছড়ি আসা যায়। ট্রেনে আসতে চাইলে প্রথমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসতে হবে। তারপর স্টেশন রোড বা অক্সিজেন মোড় থেকে গাড়ি করে খাগড়াছড়ি আসা যায়।

খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শাপলা চত্বর, বাসস্টেশন, মুসলিম পাড়া এলাকা থেকে চাঁদের গাড়ি (জিপ), সিএনজি চালিত অটোরিকশা বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে ঝরনায় যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন: আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত পর্যটন মোটেল। সদরে ব্যক্তি মালিকানাধীন ইকোছড়ি ইন, গাইরিং, শৈল সুবর্ণ হোটেলে রাত্র যাপন করতে পারেন। এখানে সিঙ্গেল রুম ভাড়া পড়বে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা। ডাবল রুম ভাড়া পরবে ৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা। তাছাড়া, শহরে আরো বেশ কিছু হোটেল রয়েছে। হোটেল জিরান, নিলয়, ফোরস্টার, লবিয়তে সহনীয় ভাড়ায় থাকা যায়।

হোটেলের নাম এবং ফোন নম্বর: পর্যটন মোটেল ০৩৭১-৬২০৮৪, হোটেল শৈল সূবর্ণা ০৩৭১-৬১৪৩৬, হোটেল জিরান ০১৫৫৩৭৫৯১২৩, হোটেল লবিয়ত ০৩৭১-৬১২২০, হোটেল থ্রি-স্টার ০১৮২০৭০১৭৭৬, ফোর স্টার ০৩৭১-৬২২৪০, হোটেল চেঙ্গি ০৩৭১-৬১২৫৪।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৫     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।