ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

বিশ্বব্যাপী দাঙ্গার আশঙ্কা

বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বাড়ছে খাদ্য দ্রব্যমূল্য

পরিবেশ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
বৈশ্বিক উষ্ণায়নে বাড়ছে খাদ্য দ্রব্যমূল্য ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতির তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ফসলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে। যে কারণে বিশ্বব্যাপী বিশেষত খাদ্যদ্রব্যের দাম তুলনামূলক দ্রুত বাড়ছে।



সম্প্রতি পরিবেশবাদী গবেষকরা দাবি করেন, এখনই পদক্ষেপ নেওয়া না হলে, এই শতাব্দীর শেষ ভাগে এ সংকট চূড়ান্ত আকার নেবে। আর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে।

জাতিসংঘের সূচক অনুযায়ী, ২০০০ সালের তুলনায় ২০০৮ সালে খাদ্যশস্যের দাম ২.৮ গুণ বেড়ে যায়। এর মূল কারণ ছিল বিশ্ব উষ্ণায়নে খাদ্যশস্যের কম উৎপাদন এবং কম মজুদ।

অন্যদিকে ২০১০-১১ অর্থ বছরে রাশিয়ার প্রকৃতি যে মাত্রায় উষ্ণ হয়ে উঠেছিল, তার প্রভাবে দেশটিতে ওই বছর বিগত চার দশকের মধ্যে সব চেয়ে কম খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়।

ওই সময় উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে দফায় দফায় খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় যে দাঙ্গা হয়েছিল, তার পরোক্ষ কারণ ছিল এটি।

এখন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের গবেষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী শতাব্দীতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের জন্য দাঙ্গা দেখা দিতে পারে।

ধান, গম, ভুট্টা এবং সয়াবিন উৎপাদনের বর্তমান চিত্র বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রতি একশো বছরে পরপর খাদ্য উৎপাদনে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসে, ২০৪০ সাল নাগাদ এই সময়সীমা কমে ৩০ বছরে নেমে আসবে।

পাশাপাশি ২০৭০ সাল থেকেই বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন হার ১০ বছরের পরিবর্তে প্রতি ৭ বছর পরপর ১০ শতাংশ হারে কমে যাবে।
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তা ক্রিস্টি লুইস।

তিনি বলেন, বিষয়গুলো নিশ্চিত করা বলা সম্ভব নয়। তবে খাদ্যশস্য উৎপাদনের বর্তমান চিত্র দেখলে এ ধারণাগুলো স্পষ্টভাবে পাওয়া যাচ্ছে।

জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) তথ্য মতে, এ অবস্থায় যদি ২০৫০ সালে খ‍াদ্য চাহিদা বর্তমানের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়, তবে উৎপাদন খাতে বড় চাপ হয়ে দাঁড়াবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৫
এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।