ঢাকা: বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা কমিয়ে আনতে সারা পৃথিবীর নেতারা দৌঁড় ঝাঁপ করলেও এখন পর্যন্ত প্রথম পদক্ষেপ শনাক্ত করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, বন উজাড়ের মাত্রা অতীতের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট উপ-গ্রহের পাঠানো ১০০টি দেশের ছবি এবং তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে ৭১৪এম একর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন উজাড় হয়ে যাবে। যা বৈশ্বিক জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তনে যোগ করবে নতুন মাত্রা।
পাশাপাশি যদি বন উজাড়ের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে তবে ২০৫০ সালে পরিবেশে অতিরিক্ত ১৬৯বিএন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড যোগ হবে, যা ৪৪ হাজার কয়লাভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট এক বছরে উৎপাদন করে।
সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে পরিবেশবাদী অর্থনীতিবিদ জোনাহ বুস বলেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন উজাড় বন্ধ করাই এখন জলবায়ু পরিবর্তন রোধের প্রথম ধাপ হওয়া উচিত। প্রতিটি দেশে কার্বন নিঃসরণের ওপর করারোপ করাই এক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞদের হিসাব অনুযায়ী, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন দুই ডিগ্রি বৃদ্ধি রোধ করতে হলে কোনো অবস্থাতেই ১টিএন টনের বেশি কার্বন নিঃসরণ করা যাবে না। এর বেশি হলে বিশ্ব আবহাওয়া ভয়ঙ্কর রূপ নেবে।
মোটা দাগে বলা যায়, সব দেশ থেকে যে পরিমাণ কার্বন বর্তমানে পরিবেশে যোগ হয়, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বন উজার হয়ে গেলে তার ছয় ভাগের এক ভাগ অতিরিক্ত যোগ হবে, উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
বন রক্ষার উদ্যোগ সফল করা যে সম্ভব, ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এমন নজির রয়েছে। ব্রাজিল গত এক দশকে আমাজন রেইনফরেস্ট থেকে গাছ কাটা ৮০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। কেবল মাত্র পর্যবেক্ষণ এবং আইনের প্রয়োগ বাড়ালেই এটা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৫
এটি/এএ