ঢাকা: বিগত ৪৫ বছরে ৪৯ শতাংশ কমে গেছে সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ, বিভিন্ন প্রকার মাছ ও পাখির সংখ্যা। আর খাদ্যসহ নানা কারণে যেসব প্রাণীর ওপর মানুষের নির্ভরতা রয়েছে, সেসব প্রাণীর ক্ষেত্রে এ চিত্র আরও করুণ।
এই শঙ্কার কথা শোনাচ্ছে একটি গবেষণা প্রতিবেদন। লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটি ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের (ডব্লিউডব্লিউওএফ) ওই গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ১৯৭০ সাল থেকে ৪৯ শতাংশ কমিয়ে সামুদ্রিক প্রাণীকূলকে এভাবে ক্রমান্বয়ে ‘নেই’ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মৎস্য আহরণ প্রধানত দায়ী। প্রায় সমানভাবে দায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিও।
ওই গবেষণার বরাত দিয়ে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাণীদের আদর্শ বসবাসস্থল বলে বিবেচিত সমুদ্রতলের ঘাস ও ম্যানগ্রোভ এলাকাও কমে যাচ্ছে। এ কারণে কমছে সেখানে বসবাসের প্রাণীকূলও।
এ বিষয়ে ডব্লিউডব্লিউওএফ’র প্রধান ম্যারকো ল্যাম্বারটিনি বলেন, ‘বংশবৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি পরিমাণে মাছ ধরা এবং তাদের বিচরণক্ষেত্র ধ্বংস করাসহ বিভিন্নভাবে মানুষ সমুদ্রের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং করছে। ’
৪৫ বছরে এক হাজার ২০০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রাণীর ওপর পর্যবেক্ষণ করে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্নমুখী দূষণের ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড মিশে সমুদ্রের পানি বেশি পরিমাণে এসিডসমৃদ্ধ হয়ে এ বিরূপ প্রভাব ফেলছে সমুদ্রের প্রাণীকূলে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এইচএ/