ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

ঘরহীন কাঁকড়ার আশ্রয় টুথপেস্টের লিড-কচ্ছপের খোলস!

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
ঘরহীন কাঁকড়ার আশ্রয় টুথপেস্টের লিড-কচ্ছপের খোলস!

ঢাকা: সমুদ্রপাড়ে আশ্রয়হীন কাঁকড়া নিজেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করছে টুথপেস্টের লিড। হঠাৎ দেখায় দৃশ্যটি উত্তেজক মনে হলেও এই দৃশ্যের পেছনে রয়েছে এক করুণ বাস্তবতা।



জানা যায়, প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে জমা হচ্ছে প্রায় আট মিলিয়ন টন ময়লা-আবর্জনা। মানবসৃষ্ট এসব বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিকের বোতল, পলিব্যাগ, খেলনাসহ আরও নানাপ্রকার জঞ্জাল।

দীর্ঘদিন ধরে এসব আবর্জনা জমা হওয়ার ফলে দূষিত হচ্ছে সমুদ্রের পানি ও সমুদ্র সৈকত। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে সামুদ্রিক পাখি ও প্রাণীদের জীবন-যাপন, বংশবৃদ্ধি ও বাসস্থান।

কিউবার সমুদ্র সৈকত থেকে তোলা কাঁকড়ার  ছবিটি এইচস্কমিড নামের একজন রেডিট ব্যবহারকারী আপলোড করেছেন।

শুধু টুথপেস্টের লিড নয়, নিজের শরীরকে শিকারির হাত থেকে রক্ষা করতে কচ্ছপ বা অন্য প্রাণীর পরিত্যক্ত খোলসও ব্যবহার করছে কাঁকড়া। তবে তাতেও শান্তি নেই। ধীরে ধীরে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবাসস্থলও বদলে নিতে হচ্ছে। আর এই আবাসস্থল হলো অন্যান্য আরও বড় রকমের খোলস।
ছবি আপলোডকারী জানান, প্রথমে আমি দৃশ্যটি দেখে আনন্দিত হই। কিন্তু পরক্ষণেই মূল ঘটনা বুঝতে পারি।
বর্তমানে এসব সমুদ্র উপকূলে দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। যার ফলে সামুদ্রিক প্রাণীর‍া বদলে ফেলছে নিজেদের সহজাত জীবনধারা।  

তবে সমুদ্র দূষণে জমা আবর্জনার পরিমাণ বাৎসরিক হারে আট মিলিয়ন টন ধরা হলেও বিজ্ঞানীদের হিসাবে প্লাস্টিকের আবর্জনার অঙ্কটা আরও বড়। অর্থাৎ, বছরে ১২.৭ মিলিয়ন টন। যার বির‍াট একটি অংশ সমুদ্রে ডুবে যায়।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা কচ্ছপরা জেলিফিশ ভেবে এসব পলিথিন খেয়ে ফেলতে পারে। ফলে পাকস্থলিতে ব্লকেজ তৈরি হয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে।

জলজ প্রাণী ছাড়াও সমুদ্র এল‍াকার পাখিরাও বিপদমুক্ত নয়। উত্তর সাগরের উপকূলে ৯০ শতাংশ ফালমার পাখি খাবার ভেবে ভুলে প্লাস্টিক খেয়ে মারা যায়।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোলজির সহযোগী অধ্যাপক শান্তা বারবারা জানান, জলজ প্রাণীর জীবন রক্ষায় সমুদ্র এলাকা থেকে এসব প্লাস্টিক সরিয়ে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।