ঢাকা: সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে মানুষ খুবই সচেতন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে একজন সঙ্গী নির্বাচন করাটা বেশ কঠিন।
জেব্রা ফিঞ্চ পাখির সঙ্গে মানুষ অনেক আচরণের মিল রয়েছে।
যেমন তারা এক বিয়ের জন্য পাত্রীর সঙ্গে দেখা করে এবং সন্তান পালনে কি কি দায়িত্ব নিতে পারবে তা আলোচনা করে। নারীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এক রকম। তবে তাদের ক্ষেত্রে সঙ্গী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন পুরুষ পাখিটি দেখতে সবচেয়ে বেশি ভালো।
জার্মানির সিউসেনের ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অরনিথোলজির বিশেষজ্ঞরা ১৬০টি পাখির উপর গবেষণা চালান। তারা ২০টি নারীকে ২০টি পুরুষ পাখির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ করে দেন।
এদের মধ্যে অর্ধেক পাখি যখন সঙ্গী নির্ধারণ করে ফেলে, তখন তারা বিয়ের আয়োজন শুরু করে।
বাকি অর্ধেক পাখির ক্ষেত্রে গবেষকরা হস্তক্ষেপ করেন এবং তাদের একত্রিত করে সঙ্গী নির্বাচনে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে পাখি দম্পতি সুখী হোক বা না হোক তারা সন্তান উৎপাদন ও তাদের যত্ন নিতে ব্যস্ত হয়ে যায়।
গবেষকদের মতে, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের চেয়ে পছন্দ করে বিয়ে করা পাখি দম্পতিরাই বেশি ভালো অভিভাবক।
দেখা যায়, যেসব পাখিদের জোর করে সঙ্গী জুটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেসব দম্পতির চেয়ে যারা নিজেরা পছন্দ করে সঙ্গী নির্বাচন করেছিল তাদের সন্তান ৩৭ শতাংশ বেশি বাঁচে।
প্রেমী দম্পতির চেয়ে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে ডিমও তিনগুণ বেশি নষ্ট হয়।
গবেষকদের মতে, ফোটার পরে বাচ্চার মৃত্যুর কারণ অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের দাম্পত্য কলহ। অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বাচ্চার জন্মের প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে, যখন পুরুষ পাখিটিকে সন্তানের দেখাশোনা করতে বাধ্য করা হয়।
সন্তানের মৃত্যুর আরেকটা কারণ সম্ভবত নারী পাখিরা সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব নিতে কম আগ্রহী হয়। পাশাপাশি পুরুষ সঙ্গীরাও কম বিশ্বস্ত হয়।
এক্ষেত্রেও পছন্দ করে সঙ্গী নির্বাচন করা দম্পতিদের আচরণে পার্থক্য দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এটি/এএ