ঢাকা: সে লক্ষ্মী মেয়ে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ে।
মর্নিং গ্লোরি নামেই পরিচিত সুন্দর এ ফুলটি। বাংলায় বেশকিছু সুন্দর নাম রয়েছে। তবে এ নামগুলোতে খুব কম মানুষই চেনে। ভোরের রানী ছাড়াও বাংলায় ফুলটিকে ভোরগরবী, প্রভাতরানী, রেললতাও বলা হয়।
মর্নিং গ্লোরির অনেক প্রজাতি রয়েছে। প্রায় এক হাজার প্রজাতির মর্নিং গ্লোরি পাওয়া যায় বিশ্বের নানা প্রান্তে। তাদের নানা রঙ, নানা রূপ। তবে বাংলাদেশে মর্নিং গ্লোরির যে প্রজাতিটি পাওয়া যায়, সেটির বৈজ্ঞানিক নাম Ipomoea Purpurea। ঢোল কলমিও মর্নিং গ্লোরিরই একটি প্রজাতি, যার বৈজ্ঞানিক নাম Ipomoea Carnea।
মর্নিং গ্লোরি মূলত মেক্সিকো ও সেন্ট্রাল আমেরিকার অধিবাসী। প্রায় সব ধরনের মর্নিং গ্লোরির বৈশিষ্ট্য একই রকম। লতানো গাছ, পানপাতা আকৃতির পাতা। তবে কিছু প্রজাতির পাতা অন্য আকৃতিরও হয়। ফুলটি হয় ফানেল আকৃতির। ৮-১৫ সেন্টিমিটার চওড়া।
ফুলের রঙে ভিন্নতা রয়েছে। নীল, উজ্জ্বল লাল, সাদা, গাঢ় বেগুনি, গোলাপিসহ নানা রঙের হয় মর্নিং গ্লোরি। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় গাঢ় বেগুনি, গোলাপি ও আকাশি নীল রঙগুলো।
সকালে ফোটে ফুলটি। আবার নেতিয়ে পড়ে দুপুরে কিংবা বিকেলে। তবে কিছু জাতের ফুল শেষরাতে বা ভোরেও ফোটে।
মর্নিং গ্লোরির চারা হয় বীজ থেকে। টবেই লাগানো সম্ভব এটি। মাটির সঙ্গে সার ব্যবহার করতে হয়। বছরের যেকোনো সময়ই এ ফুলের চারা রোপণ বা বীজ বপন করা যায়। তবে অন্য গাছের মতোই বর্ষাকাল মর্নিং গ্লোরি লাগানোর জন্য আদর্শ।
তার বা অন্যকিছু দিয়ে উপরে লতানোর বন্দোবস্ত করে দিতে হয় চারাগুলোকে। বারান্দায় টবে লাগালে গ্রিলেও লতানো যায়।
মর্নিং গ্লোরির উজ্জ্বল রঙ আর অপরূপ শোভা যে কারোর সকালই সুন্দর করে দেবে। রানীর মতোই রূপ তার, রানীর মতোই আভিজাত্য। তাই তো সে প্রভাতরানী, যাকে দেখে হাসি ফোটে সকালের ঠোঁটেও।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৫
এসএস