পৃথিবী থেকে কতো প্রাণি ও উদ্ভিদ যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কতো প্রজাতি যে বিলুপ্তির কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। এসবই হলো নিরাশার কথা।
সবচে কৌতূহলকর আবিষ্কা হচ্ছে স্নিজিং মাংকি। এই বানরের কথা বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন উত্তর মিয়ানমারের পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে। তারা জানান এই বানরকে দেখা যায় বৃষ্টি হবার সময়। ওদের ভোতা নাকের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে যায় আর সেই পানি বের করার জন্য ওরা সারাক্ষণই নাক ঝাড়তে থাকে।
বৃষ্টির অত্যাচার থেকে বাঁচতে এরা বৃষ্টির সময়টায় দু’হাঁটুর ফাঁকে মাথা গুজেঁ রাখে। প্রতিটি নতুন আবিষ্কৃত প্রাণি হিমালয় অঞ্চলের অফুরান প্রাণ-বৈচিত্র্যের প্রমাণ বহন করে। এটা সুসংবাদ বটে। তবে দু:সংবাদ হচ্ছে এই অঞ্চলে যে হারে বন উজার হচ্ছে, প্রকৃতি ও পরিবেশ যে হারে ধ্বংস করা হচ্ছে, অবৈধভাবে প্রাণিহত্যা চলছে, জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করে যেভাবে বায়ু ও পানিদূষণ চলছে, তাতে করে অনেক প্রজাতিই বিলুপ্ত হবার হুমকির মুখে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
জেএম