ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

মা-হারানোর শূকরছানা পেল ৩০ গাভী-মা!

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৫
মা-হারানোর শূকরছানা পেল ৩০ গাভী-মা! ছবি: সংগৃহীত

মানবশিশুর মা-বাবা মারা গেলে কাছের মানুষেরা বা নিকটাত্মীয়রা তার দায়িত্ব নেন। এ-ভাগ্যটুকুও যেসব এতিমের হয় না তাদের স্থান হয় এতিমখানায় বা শিশুসদনে।

কেউ কেউ, বিশেষ করে নি:সন্তান দম্পতিদের কেউ কেউ দত্তকও নেন এসব শিশুর। কিন্তু প্রাণিজগতে যদি কোনো ছোট্ট শাবক তার মা-বাবাকে হারায় তখন? তখন ওই অসহায়, বিপন্ন পশুশাবকটি কার কাছে আশ্রয় পায়? হ্যাঁ, অনেক সময় অন্য পশুদের কাছে। বিশেষত মাদী পশুরা অপর পশুর মা-হারা শাবকের দেখভালের দায়িত্ব নেয়।

ব্যাপারটা বিরল হলেও এমন ঘটনার বেশ কিছু নজির আছে। এমনকি তৃণভোজী প্রাণি হরিনের বাচ্চার মায়ের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেছে ভয়ঙ্কর মাংসাশী প্রাণি সিংহীকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বনে এমন ঘটনা ঘটেছিল। এবার মা-হারা একটি কালো বুনো শূকরছানার লালন পালনের দায়িত্ব নিয়েছে একদল গাভী। একটা দুটা মা নয়, ওই শূকরছানা এক মা হারিয়ে পেয়েছে ৩০টি গাভী-মা। এরা সারাদিন ওকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় আর যাবতীয় আপদ থেকে ওকে আগলে রাখে। জার্মানির গটিংগেনের কাছে এমন ঘটনা বেশ কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। আর এ নিয়ে একটি ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম শিরোনাম করেছে:‘‘ Orphaned Wild Boar Piglet Is Adopted by German Herd of Cows.’’
 
১৬ বছর বয়সী ক্রাফট তাদের পারিবারিক গো-খামারের কাছে গাভীদের সান্নিধ্যে ওই মা-হারা বুনো শূকরছানাটিকে ঘুরতে দেখেছে। এনবিসি নিউজকে সে বলেছে, ‘‘ পুঁচকেটাকে আমি দু’সপ্তাহ আগে দেখতে পাই। আমাদের ফলবাগানের ধারে গাভীর পালের সঙ্গে মিশে ওকে ঘোরাফেরা করতে দেখে বেশ মজা পেয়েছিলাম। আমরা দেখতে পেলাম যে গাভীগুলো তাদের মাথা দিয়ে ওকে আলতো করে ঠেলছে। ’’

ওই কৃষক পরিবারটির বাস লোয়ার সাক্সনি প্রদেশে। সেখানে একটা বনের ধারে তাদের বাড়ি ও খামার। সেখানে তারা ৩০টি গাভী পালে। ক্রাফট ওই শূকরছানাটি ছাড়া এ-পর্যন্ত আর কোনো বুনো শূকরকে গাভীদের ধারেকাছে দেখতে পায়নি। ক্রাফট একবার শূকরছানার তিনফুট কাছে পর্যন্ত গিয়েছিল। তারা এর নাম রেখেছে য়োহান।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।